নূরানী মক্তব প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব

জামিয়াতুল আস’আদ আজ চার বছর শেষ করল আলহামদুলিল্লাহ। চার বছরের শিক্ষা বছর সমাপ্তকারীরা আসলেন। এ বছর যদিও সেভাবে জামিয়ায় সময় দিতে পারি নি, কিন্তু জামিয়ার সাথে আত্মার সম্পর্কটা কখনো হালকা হয় নি, হবেও না ইনশা’আল্লাহ। আজ পুরনো ভাইদের দেখে অন্যরকম এক অনুভূতি তৈরী হলো। চার বছরে শতাধিক ভাই উম্মতের ফিকির নিয়ে শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশের আনাচে-কানাচে দ্বীনী খিদমতে লেগে রয়েছেন, মাশা’আল্লাহ।

জামিয়ার মুহতামিম মুফতী হাফিজুদ্দীন সাহেব হাফিজাহুল্লাহ চমৎকার কিছু কথা বললেন। তিনি বলেন, রামপুরার এ জামিয়া থেকে মালিবাগ পর্যন্ত যদি রাস্তার দুই ধারের মানুষগুলোর খোঁজ নেয়া হয়, তাহলে আশ্চর্য হতে হবে যে অনেকেই শাহাদাতাইন জানেন না, নামায পড়ার পদ্ধতি জানেন না। এই মানুষগুলোর জন্য ফিকির করতে হবে। একজন আলেমের জন্য এটা কোনো গর্বের বিষয় নয় যে, তিনি কখনো তার গ্রামের বাড়ীতে যান নি, বা সচরাচর যান না। আল্লাহ তায়ালা সকল আলেমকে তার এলাকার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন। নিজ এলাকায় কমপক্ষে একটি নূরানী মক্তব প্রতিষ্ঠা করে দ্বীনের আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

(নিয়্যতটা আগেই করা ছিল। আজ মজবুত করে ফেললাম। শীঘ্রই গ্রামে একটি নূরানী মক্তব চালু করার ব্যবস্থা করব ইনশা’আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা হযরতকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন।)

ফেইসবুক স্ট্যাটাস লিংক: https://www.facebook.com/myousufs/posts/10201392587404911