বাংলায় ইসলামী ওয়েবসাইট : একটি পর্যালোচনা

১৯৬0 – মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট্‌স এজেন্সি বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট নামে পরিচিত ছিল। এরই বাণিজ্যিক সংস্করণ ইন্টারনেট। ১৯৯০ এর পরের দিকে যার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। (সূত্র : উইকিপিডিয়া)

ইন্টারনেটের প্রাথমিক ব্যবহারটা ই-মেইল আদান-প্রদানেই অনেকটা সীমাবদ্ধ ছিল। একসময় ব্যবহারকারীরা নিজেদের পরিচিতি অন্যান্য সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে তুলে ধরার প্রয়োজন অনুভব করে। জন্ম হয় ওয়েবসাইটের।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীও বাড়তে থাকে দ্রুত। ১৯৯৫ সনের ডিসেম্বরে বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ১ কোটি ৬০ লক্ষ্য, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৪ শতাংশ। আর ২০১১ সনের মার্চ মাসে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় দুই শত নয় কোটি পঞ্চাশ লক্ষ্যে। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩০.২ শতাংশ। (সূত্র : internetworldstats.com)

ব্যবহারকারীর বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে ওয়েবসাইটের সংখ্যাও। গত তিনমাসে গুগল ইনডেক্স করেছে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ওয়েব পেইজ। (সূত্র :worldwidewebsize.com) কিন্তু এত বিশাল সংখ্যক ওয়েবসাইটের সবই যে প্রয়োজনীয়, তা কিন্তু নয়। বরং বাস্তব জগতের মতো ভার্চুয়াল এ জগতেও অপ্রয়োজনীও বিষয় ও মন্দের বিস্তার বেশি।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সামগ্রিক তথ্য প্রদানকারী সাইট Alexa.com এর দেয়া তথ্যানুযায়ী মোটামুটি ভিজিটর আছে এমন ইসলামিক ওয়েবসাইটের সংখ্যা ইন্টারনেটে আট হাজারের কিছু বেশি। আর খ্রীষ্ট ধর্মের সাইট পঁয়ত্রিশ হাজারের বেশি। অপর দিকে একেবারে অশ্লীল সাইটের সংখ্যা সাতাত্তর হাজারের বেশি। Alexa.com এর গণনার বাইরে থাকা সাইটের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। কিন্তু এ থেকেই মোটামুটি ইসলামিক সাইটের আনুপাতিক হার অনুমান করা যায়।

ইসলাম ও ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষা নিয়ে ওয়েবসাইটের যাত্রা খুব বেশি দিনের নয়। জনপ্রিয় ইসলামিক সাইট Islamonline.net এর যাত্রা শুরু ১৯৯৭ এ। Islamhouse.com এর যাত্রা শুরু ২০০০ -এ। হানাফীদের প্রসিদ্ধ ওয়েবসাইট, সাউথ আফ্রিকা থেকে মুফতি ইবরাহীম দেসায়ী দেওবন্দীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সাইট askimam.org -এর জন্ম ২০০৪ এ। আর দারুল উলূম দেওবন্দের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট darululoom-deoband.com এর জন্ম ২০০১ এ। (সূত্র : who.is)

বাংলা ভাষায় ইসলামিক ওয়েবসাইটের শুরু কখন তা বলা কঠিন। Islamhouse.com এর বাংলা বিভাগটাকেই সবচেয়ে পুরনো বাংলা ইসলামিক সাইট বলে মনে হয়। তবে Islam.com.bd -এর রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০৬ এ। ডট বিডির যাত্রা তখন প্রথম দিকে। এরও আগে ২০০৫ এ রেজিস্ট্রেশন করা হয় banglakitab.com সাইটটি। যাতে বিভিন্ন ইসলামিক বই স্ক্যান করে আপলোড করা হত, এখনও করা হয়। এছাড়া বাংলা ভাষায় প্রথম কম্যুনিটি ব্লগ সাইট somewhereinblog.net এর রেজিস্ট্রেশনও হয় ২০০৫ এ, যাতে বিভিন্ন লেখার পাশাপাশি বাংলায় ইসলামিক লেখাও টুকটাক হত। সে হিসেবে বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় ইসলামিক ওয়েবসাইটের জন্ম ২০০৫ এ বলা যেতে পারত। কিন্তু জনপ্রিয় ইসলামিক ম্যাগাজিন মাসিক মদীনার সাইট mashikmadina.com এর রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০১ এ। ওয়েব আর্কাইভে দেখা সে সময়ের সাইটটিকে বেশ মানসম্মত বলেই মনে হয়। অবশ্য বর্তমানে ডোমেইনটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। মাসিক মদীনার সাইটের আগে আর কোনো বাংলা ইসলামিক সাইটের অস্তিত্ব নজরে আসেনি। যাহোক, বিষয়টা পাঠকের হাতে ছেড়ে আপাতত কেটে পড়ছি। (সূত্র : server.com.bd, who.is এবং http://web.archive.org)

এখন ২০১১। অনেক বাংলা ইসলামিক ওয়েবসাইট জন্মেছে এবং দ্বীনের খিদমত করে যাচ্ছে। ওয়েবসাই্টের প্রয়োজনীয়তা কী, তা আমরা দেরীতে হলেও বুঝতে পারছি। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। অনেক ইসলামিক পত্রিকা তাদের অনলাইন সংস্করণ চালু করেছে, আবার অনেকে কেবল ইন্টারনেট ভিত্তিক পত্রিকাও প্রকাশ করছে। ব্যক্তিগত ভাবেও কিছু আলেমকে ওয়েবসাইট প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে গত ২-৩ বছরে এর হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

বর্তমান যুগটি যোগাযোগের। তথ্য আদান-প্রদানের। এখন তথ্যই সবকিছু্। মোবাইল বলুন, ইন্টারনেট বলুন, ফ্যাক্স আর ই-মেইল যা-ই বলুন, সবকিছুর মূলে ওই তথ্যের আদান-প্রদান। যে যত বেশি তথ্য প্রদান করবে, সে তত বেশি স্বচ্ছ, অন্তত যুগের হিসেবে।

এক সময় তথ্য প্রকাশটা ছিল ইচ্ছার ব্যাপার। ইচ্ছে হলো, জানালাম। ইচ্ছে হলো না, জানালাম না। এখন তথ্য প্রকাশটা প্রয়োজন। ব্যক্তির প্রয়োজন, প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, সমাজের প্রয়োজন, রাষ্ট্রের প্রয়োজন। যে প্রতিষ্ঠান তার তথ্য এ টু জেড প্রকাশ করবে, লোকে তাকে ভালো জানবে। যে প্রতিষ্ঠান তথ্য জানাবে না, লোকে তাকে সন্দেহ করবে, জঙ্গী বলবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমাদের দ্বীনী প্রতিষ্ঠান ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য তথ্য প্রকাশ এখন সাধারণ কোনো প্রয়োজন নয়, অতীব প্রয়োজন, আশাদ্দে জরুরত। দুনিয়াবী প্রয়োজন তো বটেই, দ্বীনী প্রয়োজনও এখানে বেশ। কেননা, নিজেদের অবস্থানের স্বচ্ছতা পরিস্কার করার পাশাপাশি বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনটাও এখন কম নয়। সহীহ পথের পথিকদের এ পথে পদচারণা কম হওয়ায় আজ বাতিল এ পথের বৃহদাংশই দখল করে নিয়েছে। শুধু মাজার পূজা আর ব্যক্তির সিজদার বিষয় নয়, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত যুব সমাজ ধ্বংসকারী সাইট আর ঈমান বিনষ্টকারী নাস্তিকদের পদচারণা এ পথে অনেক শক্তিশালী। যা নির্মূল করার দায়িত্ব আলেমদেরই। আমার তো ইচ্ছে হয়, আজই ফতোয়া দেই যে, এসব সাইটের বিরুদ্ধে সাইট-যুদ্ধ (কলমযুদ্ধ বৈ কী) করা আমাদের ওপর ফরযে কেফায়া।

আলহামদুলিল্লাহ, বাংলা ভাষায় এখন যেভাবে ইসলামিক সাইট তৈরি শুরু হয়েছে, তাতে আশান্বিত হতেই পারি। নি:সন্দেহে এগুলো সাদাকায়ে জারিয়া, দ্বীনের অসামান্য খিদমত। আল্লাহ এসব সাইটের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করে নিন।

এখানে একটা বিষয় কিছুটা নিরাশার যে, এখন পর্যন্ত প্রায় দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের সাইটই কেবল ডোনেশনের জন্য নির্মিত। ডোনাররা সাইট দেখে ডোনেশন দিবেন, এমন একটি মানসিকতা সাইটগুলোতে কাজ করছে বলে দেখলেই মনে হয়। এর থেকে উত্তরণের উপায় কী?

একটি দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মাদ্রাসার পরিচয়, পরিচালকদের পরিচয় ও সাহায্যের আবেদন -ইত্যাদির পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় সংযুক্ত করলে সাইটটি আরো প্রাণবন্ত হবে, সর্বসাধারণ উপকৃত হবে। যেমন, শিক্ষকদের বয়ান বা ক্লাসের লেকচারের অডিও। প্রতিষ্ঠানের মাহফিল ইত্যাদির সরাসরি সম্প্রচার। শিক্ষক ও ফারিগ ছাত্রদের জন্য ব্লগ, যাতে তারা প্রবন্ধ, মতামত ইত্যাদি লিখতে পারবেন এবং একে অপরের লেখায় মন্তব্য করে তা প্রাণবন্ত করে তুলবেন। শিক্ষক ও ছাত্রদের নির্বাচিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের লেখায় প্রকশিত দেয়ালিকারও ইন্টারনেট সংস্করণ হতে পারে।

জিজ্ঞাসা বিভাগ। যেখানে ভিজিটর প্রশ্ন করতে পারবেন এবং দ্রুত উত্তর পেয়ে যাবেন। উত্তরটি সাইটেও প্রকাশিত হবে। লাইভ চ্যাট বা সরাসরি কথোপকথনের অপশন থাকতে পারে। যাতে একজন ভিজিটর কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শের জন্য একজন আলেমের সাথে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে সরাসরি কথা বলতে পারেন।
বড় প্রতিষ্ঠানের ফারেগীনদের জন্য ভিন্ন একটি সোস্যাল সাইটও থাকা উচিৎ। যাতে একে অপরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ভিত্তি গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন। একে অপরের অবস্থা জানতে পারবেন। সাথে ফোরাম থাকলে আরো ভালো হয়। এভাবে হক্কানী আলেমদের একটি সংঘ তৈরী হবে। যা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে একসঙ্গে দ্বীনের কাজ করে যেতে পারে। পাঠক হয়ত ভাবছেন, তা আদৌ সম্ভব কিনা? ফেইসবুকে আলমদের আধিক্য প্রমাণ করে এটা খুবই সম্ভব এবং সময়ের প্রয়োজন।

এসব ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সাইটটি বাংলা, ইংরেজি ও আরবী তিনটি ভাষায় হতে পারে। সব বিষয় না হোক, অন্তত তথ্যগুলো সব ভাষায় থাকলে খুবই ভালো হয়। সাইটটির সাথে ফেইসবুক পেইজ ও টুইটারের সংযোগ করলে তা আরো প্রচার লাভ করবে। অনলাইন ডোনেশন নিয়েও ভাবা যেতে পারে। বর্তমানে মানুষ তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ বিষয়ে অনলাইনে ডোনেশন সংগ্রহ করছে। দ্বীনী বিষয়ে ডোনেশন সংগ্রহ করলে অনেকেই তা সাদরে গ্রহণ করবে।

ইসলামিক সাইটগুলোর বড় একটি অভাব হলো এগুলোর প্রচার-প্রসারে অবহেলা। অনেকেই প্রচার করতে চান না ‘রিয়া’ হবে এ ভয়ে। অনেকে আবার এ বিষয়ে সচেতন নন। আসলে রিয়া আর প্রচারের মাঝে যে পার্থক্য হতে পারে, তা বোঝানোর দায়িত্ব আলেম সমাজেরই। প্রচার না হলে সাইটের উপকার অনেকাংশেই কমে আসে।

আলেমদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থাকা খুবই প্রয়োজন। নিজের প্রকাশিত একটি বই একজন আলেমের জন্য যতটা সম্মানজনক, তার চেয়ে ঢের বেশি প্রয়োজন বর্তমানে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট। আরবের ছোট বড় প্রায় আলেমরই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট রয়েছে। (দেখুন sultan.org/a/)

আলেমদের ব্যক্তিগত ওয়েবাইটে লেখালিখি, জুমার বয়ান ইত্যাদি থাকা উচিৎ। এছাড়া সরাসরি সম্প্রচারিত বিষয়ভিত্তিক বয়ান থাকতে পারে। প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থাও থাকতে পারে।

দ্বীনী প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ছাড়াও ইন্টারনেটে বিভিন্নভাবে ইসলামের খিদমত করা যেতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন দ্বীনী প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যবস্থা করতে পারে। এতে দেশ-বিদেশের অনেক ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশী ঘরে বসে দ্বীন শিক্ষার সুযোগ পাবেন। এগুলো এখন মোটেও অবাস্তব বা অসম্ভব নয়।

ইসলামিক বক্তব্য, আলোচনা ইত্যাদি নিয়ে হতে পারে অনলাইন ইসলামিক টিভি। এতে কুরআন, হাদীস, ফিক্বহ, জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসতে পারে। হতে পারে অনলাইন রেডিও। বর্তমানে অনেক মোবাইল ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কাজেই অনলাইন রেডিও হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়া কঠিন কিছু নয়।

এছাড়া কুরআন-হাদীস নিয়ে ওয়েবসাইট হতে পারে। অনুবাদ, তাফসীর, ব্যাখ্যা, খোঁজার সুবিধাসহ আধুনিক ওয়েবসাইট এখন খুবই প্রয়োজন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়েও সাইট হতে পারে। বিবাহ, তালাক, যৌতুক, পারিবারিক সমস্যা, চুরি, ডাকাতি, এইডস, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়ে ইন্টারেকটিভ সাইট হতে পারে। এসব সাইটে সমস্যার কারণ, পরিসংখ্যান, ইসলামে বর্ণিত প্রতিকার পদ্ধতি ইত্যাদি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে।

রাসূল স., সাহাবী, তাবেয়ী ও বড় আলেমদের জীবন ভিত্তিক সাইট হতে পারে। তাদের শৈশব, কৈশর, যৌবন, কথামালা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, বই-পত্র ইত্যাদি সবই অনলাইনে চলে আসা উচিৎ।

ইসলামিক বই নিয়ে গড়ে উঠতে পারে অনলাইন পাঠাগার। পাঠক সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন, সাইটটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সেখান থেকে বই ডাউনলোডও করতে পারবেন।

আসলে অনলাইনে খিদমতের বিশাল ময়দান পড়ে আছে। এখানে খিদমত করা যে সওয়াবের, এ বিষয়টা সবাইকে বোঝাতে হবে। তাহলেই হয়ত আমরা স্বপ্ন দেখতে পারব একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্মের। যে প্রজন্ম ফেইসবুক আর ড্রাগ এ্যাডকটেড প্রজন্ম না হয়ে হবে অনলাইন দাওয়ার মাদউ, নীত নৈতিকতা সমৃদ্ধ আধুনিক প্রজন্ম। আল্লাহ আমাদের সে স্বপ্ন পূরণ করুন। আমীন।

——–

এই আর্টিকেলটি অক্টোবর ২০১১ তে একটি ইসলামী মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত