(পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন নিউজ)
====
লক্ষ্মীপেঁচায় সমৃদ্ধি, গাজী ও বাঘ দুঃসময়ের কাণ্ডারি
বাড়ির কোণে যে লক্ষ্মীপেঁচাকে দেখে সামনের দিনগুলোতে সুখের স্বপ্ন দেখেন গ্রামের কৃষক, সেই পেঁচাকে নিয়ে হলো এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গলযাত্রায় ছিল হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের দুঃসময়ের কাণ্ডারির প্রতীক হিসেবে ‘গাজী ও বাঘ’, সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে লক্ষ্মীপেঁচার পাশাপাশি শিশু হরিণ, মা ও শিশু, হাঁস ও মাছের ঝাঁক।
‘জাগ্রত করো উদ্যত করো নির্ভয় করো হে’ বক্তব্যকে ধারণ করে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় বলে জানান জাতীয় বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল বারক আলভী।
http://bangla.bdnews24.com/
====
চারুকলা অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক নিসার হোসেন জানান, এবারের শোভাযাত্রায় হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের দুঃসময়ের কাণ্ডারির প্রতীক হিসেবে ‘গাজী ও বাঘ’, সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে লক্ষ্মীপেঁচা, শিশু হরিণ, মা ও শিশু, হাঁস ও মাছের ঝাঁক, লোক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিড়ালের মুখে চিংড়ি, শখের হাঁড়ি তুলে ধরা হবে।
http://bangla.bdnews24.com/
====
রাম ও শ্রীকৃষ্ণের জীবন নিয়ে রামযাত্রা ও কেষ্ট যাত্রা এক সময় ছিল এ দেশের গণমানুষের বিনোদন। শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাহিনি নিয়ে মা যশোদা ও গোপালের নিবিড় সম্পর্কনির্ভর এবং বৃন্দাবন লীলা নিয়ে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমনির্ভর প্রচুর যাত্রা এ দেশের মানুষকে জুগিয়েছে ভক্তিরস। রাম-সীতার পালাগান ও যাত্রা এক সময় ছিল গণমানুষের অন্যতম প্রধান বিনোদন।
দেশের লোক সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান কবিগান, ঝুমুরগান ও নাচ, গাজীর গান ও শিবের গাজন, কীর্তন।
http://bangla.bdnews24.com/
====
পহেলা বৈশাখে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লুঙ্গি ও শাড়ি পরে শোভাযাত্রার পাশাপাশি বের হয় ধুতি শোভাযাত্রাও।
http://bangla.bdnews24.com/
====
‘কুশিক্ষাগ্রস্ত’ ধর্ম ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে টাকা এনে তার থেকে সামান্য কিছু সাধারণ মানুষের একটি অংশকে দিয়ে তাদের দিয়ে নানা ধ্বংসাত্মক কাজ করাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যথাযথ শিক্ষা দেয়া আমাদের কাজ নয়। কিন্তু ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যে হানাহানি নয় তা বোঝাবার দায়িত্ব আমাদের। গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
http://bangla.bdnews24.com/
====
শূন্যে ঘুরছেন চড়ক শিব, মনোবাসনা জানাচ্ছে মানুষ !
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কোকদন্ডিতে সোমবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী ‘চড়ক শিব পূজা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তিতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বাংলা বছরের শেষদিন হিসেবে সোমবার এ পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
একসময় চড়ক শিব পূজা হিন্দু সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে আয়োজন করলেও কালের পরিক্রমায় অনেক আদি ধর্মীয় সংস্কৃতির মতো এ পূজাও এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে বাঁশখালীর কোকদন্ডি, রাউজানের নোয়াপাড়াসহ হাতেগোণা দু’একটি জায়গায় এ পূজার আয়োজন করা হয়।
http://www.banglanews24.com/
(এ নিউজটি আনার উদ্দেশ্য, চৈত্রের শেষ দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন – এ সময়গুলোতে বিশেষ পূজা ছিল এবং আছে, যার সাথে এখনকার বৈশাখী উৎসব মিলে খানিকটা একাকার হয়ে গেছে।)
====
মন্তব্য: কোনো মুসলিম যদি এসব গাজী, বাঘ, হরিণ, পেঁচা ইত্যাদির মাধ্যমে মঙ্গল কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে থাকেন, এসবের কারণে মঙ্গল বা সমৃদ্ধি আসবে বলে বিশ্বাস করে থাকেন – তাহলে অতিসত্বর লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু-মুহাম্মাদ
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ‘ঈমান’ -এর যথাযথ হেফাজত করার তাওফীক দিন। আমীন।
