কারো সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে রাসূলের স. জীবন থেকে নেয়া কিছু আদব, যা আমরা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে থাকি:

– যার সাথে কথা বলা হচ্ছে, তার দিকে সম্পূর্ণ শরীর ঘুরিয়ে কথা বলা (অন্যদিকে তাকিয়ে কথা না বলা, এতে গুরুত্বহীনতা বুঝায়)
– কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা (মোবাইল/ হোয়াটসঅ্যাপ/ এফবি বা অন্যকিছুতে মনোযোগ রেখে কথা না বলা – এতে অবহেলা প্রকাশ পায়)
– অপরজনকে তার কথা শেষ করতে দেয়া (কথার মাঝখানে বিঘ্ন না ঘটানো/ নিজের কথা জোর করে বলতে না চাওয়া/ অপরজনের কথা শেষ হওয়ার পর কথা শুরু করা – অন্যথায় তা অভদ্রতা বলে পরিগণিত হয়)
– কথা বলার সময় নম্রভাবে কথা বলা, অযথা উত্তেজনা/ উচ্চস্বর/ রাগ পরিহার করা
– শিক্ষকের ক্ষেত্রে – গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনবার বা একাধিকবার তুলে ধরা, যেন শ্রোতা বুঝতে পারেন
– গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করা, তারপর ছাত্রদের উত্তর জানার পর প্রকৃত উত্তর দেয়া
– কথার মাধ্যমে কাউকে হেয়/ অপমান/ খোটা/ ট্রল না করা
– কথার ভেতর অন্যের দোষ চর্চা না করা (গীবত) – (এতে বক্তার প্রতি শ্রোতার অনাস্থা তৈরি হয়। শ্রোতা ভাবে যে, বক্তা এভাবেই তার দোষ অন্যের কাছে চর্চা করে থাকে বা করবে)
– কথার ভেতর আমিত্ব/ নিজের অহংকার প্রকাশ না করা, প্রয়োজনে ‘আমরা’ ব্যবহার করা – এতে আমিত্ব পরিহারে বিনয় প্রকাশ পায়

ইত্যাদি।

কথা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের খুব গুরুত্বপূর্ণ পরিচায়ক। কারো সাথে দেখা হলে প্রথমেই সে ব্যক্তি তার সার্টিফিকেট, পদবী ইত্যাদি দেখে না। বরং, কথার ঢঙই তার পরিচয় তুলে ধরে।