৫ই মে শাহাদাতের রাত

৫ই মে ২০১৩। ৩ বছর হয়ে গেল! কারো কাছে ছিল রঙ মাখার রাত, কারো কাছে কান ধরার। যাদের পরিবার, পরিচিতদের কেউ শহীদ হয়েছেন, তারা জানেন, এটা ছিল শাহাদাতের রাত। এ রাতের জুলুমের ক্ষত নিয়ে এখনো প্রতিটা প্রহর গুনছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।

রাতের আধারে বাতি নিভিয়ে, মিডিয়াকে দূরে রেখে, কিছু চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে, হাজারো বুলেট খরচ করে যে রাত রচিত হয়েছে, তা কেমন রাত ছিল সেটা বুদ্ধিমান মাত্রই জানেন।

একটি প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়, এ রাতের নৃশংসতার কোনো তথ্য নেই কেন? তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘অধিকার’ সহ যারাই কাজ করেছে, তাদের কী অবস্থা হয়েছে সবাই জানেন। জীবন্ত তথ্যগুলোকে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। ৫ই মে প্রজন্মের একজন বেঁচে থাকলেও সত্য ইতিহাসে লেখা হবে।

৫ই মে অনেকের কাছে অনেক রকম। আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে, ৫ই মে ছিল ঈমান ও নেফাকের মাঝে পার্থক্যকারী। অনেক সাধারণ মানুষও আলেমদের জন্য কেঁদেছেন, একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, আবার অনেক তথাকথিত নামাজীও আলেমদের রক্ত দেখে হেসেছেন, কুরআন বুকে ধারণকারীদের ওপর কুরআন পোড়ানোর অভিযোগ তুলে চায়ের কাপে তৃপ্তির চুমুক দিয়েছেন।

অনেকের জীবনে পরিবর্তন এনেছে ৫ই মে। পেছনের ঘটনা আল্লাহ ভালো জানেন, কিন্তু যে মানুষগুলো সেখানে গিয়েছিলেন, তাদের ইখলাস নিয়ে সংশয় করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের অবস্থান নিয়ে শঙ্কা থাকলে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেত। কিন্তু ঘুমন্ত-ক্ষুধার্ত নিরীহ নিরস্ত্র হাফেজ-আলেমদের ওপর এভাবে বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে আক্রমণ ছিল অত্যন্ত কাপুরুষোচিত সিদ্ধান্ত।

আল্লাহ তায়ালা ৫ই মে’র শহীদদের জান্নাতুল ফিরদাউসের সুউচ্চ অবস্থানে থাকার ব্যবস্থা করে দিন। আমীন।