ভূমিকা :
প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। একাত্তরে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে আমাদের এ দেশ। এ দেশের শতকরা প্রায় নব্বই ভাগই মুসলিম বা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। [১] এ দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুসলিম। তাঁর সুদৃষ্টিতেই ও তাঁরই ব্যবস্থায় দেয়া জায়গায় টঙ্গীতে তুরাগ তীরে আজও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। [২] তাঁর পরবর্তী সকল শাসকই মুসলিম, এবং স্ব স্ব দাবী অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলিম।
প্রিয় এ দেশের সংবিধানে আছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে”। [৩] আমরা জানি, সংবিধানের এ ধারা অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল করার জন্য প্রণীত। আর সহানুভূতি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ স. আমাদের শিখিয়েছেন ও দেখিয়েছেন। পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান মদীনার সনদ তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।
কিন্তু সংবিধানের এ ধারার সহানুভূতিশীলতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কিছু গোষ্ঠী জোরপূর্বক বা বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। [৪] যা বিভিন্ন সময় জাতীয় দৈনিক ও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বলে এতে আর কোনো সন্দেহ নেই। জোরপূর্বক ধর্মান্তর যে কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নিন্দনীয়, তা নয়; বরং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্যও তা হুমকি স্বরূপ। [৫]
এই প্রবন্ধে ধর্মান্তরের সংজ্ঞা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, মাধ্যম ও মোকাবিলার উপায় আলোচনা করা হবে ইনশা’আল্লাহ।
এক. ধর্মান্তর কী?
সংজ্ঞা : ধর্মান্তর শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো ধর্ম পরিবর্তন করানো। পরিভাষায় আমরা বুঝি, মানুষকে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। যদি তারা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ না করে, তাহলে অন্তত স্ব ধর্ম থেকে বের হওয়ায় উৎসাহিত করা। বিশেষ করে মুসলিমদের ক্ষেত্রে এমনটি করা।
ধর্মান্তর একটি ধর্মীয়-রাজনৈতিক আন্দোলন, যা ক্রুসেড যুদ্ধের প্রসারে প্রসার লাভ করেছে। উদ্দেশ্য, পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি-বর্ণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খ্রীষ্টধর্ম প্রচার করা, বিশেষ করে মুসলিমদের মাঝে। [৬]
কুরআনিক ইতিহাস :
খ্রিষ্টধর্মানুসারীরা যখন থেকে তাদের পতন বুঝতে পেরেছে, তখন থেকেই তাদের ধর্মের প্রচার-প্রসারে বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মান্তর করে খ্রীস্টান বানানোর চেষ্টা শুরু করেছে। [৭] এজন্য তারা মুসলিমদের বন্ধু হয়েছে, ভাই সেজেছে। আল-কুরআনের বাণী :
ক.
مَّا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا الْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍ مِّن رَّبِّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ
আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা। [৮]
খ.
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ ۖ فَاعْفُوا وَاصْفَحُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আহলে কিতাবদের অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফের বানিয়ে দেয়। তাদের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর (তারা এটা চায়)। যাক তোমরা আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত তাদের ক্ষমা কর এবং উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। [৯]
গ.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تُطِيعُوا فَرِيقًا مِّنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ يَرُدُّوكُم بَعْدَ إِيمَانِكُمْ كَافِرِينَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবদের কোন ফেরকার কথা মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা তোমাদিগকে কাফেরে পরিণত করে দেবে। [১০]
দুই. ধর্মান্তরের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী :
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ
নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। [১১]
ধর্মান্তরের জন্য খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীরা বড় অংক খরচ করে থাকেন। তাদের লক্ষ্য নিম্নরূপ :
ক. খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের মুসলিম হওয়া থেকে বিরত রাখা
এ লক্ষ্যে তারা মুসলিম দেশগুলোকে যুদ্ধ-বিগ্রহে ও নানা অশান্তি-অরাজকতায় ডুবিয়ে রাখার চেষ্টা করে। মুসলিম দেশে আসার ভিসা দেয়ার ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করে।
খ. অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও মুসলিম হওয়া থেকে বিরত রাখা
গ. মুসলিমদেরকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে আনা :
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। একজন মুসলিমকে নামমাত্র মুসলিমে পরিণত করা এবং তার সাথে আল্লাহর সম্পর্কে ছেদ ঘটানোই এখানে মূল উদ্দেশ্য। দীর্ঘ মেয়াদে যা ইসলাম ধ্বংসে সমূহ সাহায্য করবে।
ঘ. ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করা
ঙ. ইসলামের শিক্ষা-দীক্ষার চেয়ে খ্রীষ্টধর্মের শিক্ষা-দীক্ষাকে প্রিয় করে তোলা
এ লক্ষ্যের বাস্তবায়ন স্পষ্ট হয় শিক্ষার সিলেবাসে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে, ইংরেজী মাধ্যমের সয়লাব এবং বিভিন্ন এন.জি.ও পরিচালিত স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে।
চ. পশ্চিমের উন্নতি খ্রীষ্টধর্মের কল্যাণেই, এ ধারণা বদ্ধমূল করা
ছ. মুসলিম দেশগুলোতে বৃহদাংশে খ্রীস্টান বানানো, প্রবেশ করানো
জ. মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করা
তিন. ধর্মান্তরের মাধ্যমগুলো কী ?
ধর্মান্তর একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি মানুষের বিশ্বাসে পরিবর্তন আনার নাম, যা কখনোই সহজে হয় না। তাই তা সহজ করতে তারা বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
ক. বিভিন্ন মুসলিম দেশে মিশনারি দল পাঠানো
মিশনারি দল হলো বিভিন্ন ধর্মীয় দল, যারা শিক্ষা-চিকিৎসা ইত্যাদি সেবার মাধ্যমে বা সরাসরি ইঞ্জিল প্রচারের কাজ করেন। [১২]
খ. বই-পত্র, আর্টিকেল ছাপানো – যেগুলো ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ ছড়ায়, ইসলামকে বিশ্ববাসীর সম্মুখে হেয় করে তোলে
এসবের মধ্যে সিলেবাসের পাঠ্য বই, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সম্পাদকীয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গ. চিকিৎসা – এক্ষেত্রে সারা বিশ্বে রোগের ছড়াছড়ি এবং সে তুলনায় মুসলিম রাষ্ট্রের চিকিৎসা-মাধ্যমের কমতি তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে।
যেখানে মানুষ আছে, সেখানেই রোগ আছে। আর যেখানে রোগ আছে, সেখানেই চিকিৎসকের প্রয়োজন আছে। আর চিকিৎসকের প্রয়োজন যেখানে, সেখানেই ধর্মান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।[১৩]
ঙ. শিক্ষা পদ্ধতি – স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা, যেগুলোতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে খ্রীষ্টধর্মের বীজ বপন করা হয়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোও অনেক ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
প্রখ্যাত খ্রিস্টধর্ম প্রচারক হেনরী জেসব বলেন, খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলগুলোতে শিক্ষা হলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যম মাত্র। আর সেই লক্ষ্য হলো, মানুষকে মাসীহের নেতৃত্বে নিয়ে আসা, আর তাদের এমন ভাবে শিক্ষা দেয়া যেন তারা মাসীহী জনগণে পরিণত হয়; পরিণত হয় মাসিহী গোষ্ঠীতে। [১৪]
চ. নাস্তিকতা ছড়ানো :
ধর্মান্তরের একটি অন্যতম উপায় হলো নাস্তিকতা ছড়ানো। ধর্মান্তরকারীদের মূল উদ্দেশ্য মুসলিমদেরকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করা। যদি তাদের উদ্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী বানানো যায়, তাহলে তো কথাই নেই। তা সম্ভব না হলে অন্তন নাস্তিক বানানো গেলেও ইসলাম থেকে তাদের বের করা যায়।
খ্রিস্টধর্ম প্রচারক জেমের বলেন, “তোমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, মুসলিমকে ইসলাম থেকে বের করা। যেন সে এমন এক সৃষ্টে পরিণত হয়, যার সাথে আল্লাহর কোনো সম্পর্ক নেই।”[১৫]
চ. মিডিয়ার ব্যবহার – প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ইন্টারনেট মিডিয়ার ব্যবহার করে তারা ইসলামের অপমান করছে, ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে সন্দেহ ঢেলে দিচ্ছে। ফলে মানুষ খ্রিষ্টান না হলেও অমুসলিম বা নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে।
আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যে কোনো লেখনী, বক্তব্য, দলীল ইত্যাদির চেয়েও হাজার গুন বেশি শক্তিশালী।
ফ্রেড ওকারোড বলেন, এটা স্পষ্ট যে মিডিয়া আজ অনত্যম বৃহৎ মাধ্যম, যার মাধ্যমে সহজেই মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকার মুসলিমদের দ্বারে পোঁছা যায়। কেননা আমাদের জানা মতে মিডিয়া সীমানার প্রাচীর ভেঙে দিতে পারে, সমুদ্র আর মরুভূমি পাড়ি দিয়ে দূর্গম অঞ্চলের মুসলিমদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে।[১৬]
এসব মিডিয়াতে তারা কয়েক ভাবে কাজ করে থাকে :
১. সরাসরি খ্রীষ্টধর্মের দিকে আহ্বান করা, তাদের বৈশিষ্ট্য, ভাতৃত্ব, মায় ইত্যাদি বড় করে দেখানো।
২. মুসলিমদের আকীদা ও দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে সন্দেহ ছড়ানো ও ব্যঙ্গাত্বক ভাবে তুলে ধরা। এ ক্ষেত্রে নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন সবই ভূমিকা রাখতে পারে।
৩. অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফী ছড়িয়ে চরিত্র নষ্ট করা, লজ্জা কমিয়ে আনা, আত্মমর্যাদা ভুলিয়ে দেয়া এবং নানা রিপুতে ডুবিয়ে দেয়া। চরিত্র বিনষ্টকারী পণ্য সুলভ মূল্যে ও আকর্ষণীয় উপায়ে বাজারজাত করা। যেন এরপর এসব মানুষকে সহজেই যে কোনো দিকে ডাকা যায়। এমনকী আল্লাহর সাথে নাফরমানী করতেও তাদের ডাকতে অসুবিধা না হয়।
১৯৮৬ সনের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে, মিডিয়া ও যোগাযোগ খাতে ধর্ম প্রচারের জন্য ব্যয় ১১৯৬৫ ডলার পৌঁছে গেছে।[১৭]
এই তিনটি ছাড়াও আরো অনেক মাধ্যম চিন্তা করলেই পাওয়া যাবে। তাদের মাধ্যমগুলো সীমিত নয়। আল্লাহ বলেন:
وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ
তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম। [১৮]
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। [১৯]
চার. ধর্মান্তর মোকাবেলার উপায় কী ?
ক. দাওয়াত ও তাবলীগ : ধর্মান্তরকারীদের যে কোনো লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার প্রধান সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় মুসলিমদের দুর্বল ঈমান। কাজেই ধর্মান্তর মোকাবেলায় এই দুর্বল ঈমানকে সবল করার চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। আর এ লক্ষ্য নিয়েই ১৯২৬ সনে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠা হয় এ স্লোগান নিয়ে – হে মুসলিমগণ! মুসলিম হও। যা আল-কুরআনেরই একটি আয়াতের মর্মার্থ :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [২০]
মুসলিমদের ঈমান শক্তিশালী করার জন্য এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার অভ্যাস করার জন্য তাবলীগের কাজকে আরো বেগবান করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ খিদমত আরো দায়িত্ব নিয়ে পালন করতে হবে।
খ. গবেষণা-লেখালিখি : ধর্মান্তরের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম বই-পত্র ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ। আমাদের লেখকদের এ বিষয়ে সচেতনতামূলক ও ঈমানের বিভিন্ন দিক নিয়ে বেশি বেশি বই-পত্র প্রকাশ ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশে উৎসাহী হতে হবে।
এছাড়া শিক্ষার সিলেবাসের জন্য উপযোগী বই প্রণয়নেও মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখার বিষয়, শিক্ষাই ধর্মান্তরের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
গ. মিডিয়া : মিডিয়া যে কোনো কিছু প্রচারের একটি অদ্বিতীয় মাধ্যম। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও ইন্টারনেট মিডিয়া এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। হকপন্থী আলেমদের এ ক্ষেত্রে অনুপস্থিতি বাতিলপন্থীদের শক্ত অবস্থান তৈরীর সুযোগ করে দিচ্ছে। আর প্রত্যেক বাতিলই কোনো না কোনো ভাবে ধর্মান্তরের চক্রান্তকারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাহায্যকারী রূপে কাজ করে যাচ্ছে। বাতিলের সয়লাবই নাস্তিকদের নাস্তিক হতে উৎসাহিত করে। ইসলামের মৌলিক বিষয়াদিতে সন্দেহ ঢোকায়।
এ বিষয়টা নিয়ে আলেমদের আরো গভীর দৃষ্টি দেয়া এখন সময় ও ঈমানের দাবী।
৪. সাহায্য সংস্থা : সমস্যা যেখানে, সেখানেই সমাধানের প্রয়োজন। আর সমাধানের প্রয়োজন যেখানে, সেখানেই ধর্মান্তরের কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ।
মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো যেমন, আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি যদি রাষ্ট্র মেটাতে না পারে, তখন অন্যরা এ সুযোগকে কাজে লাগায়। কাজেই ইসলামের হিতাকাঙ্ক্ষীদের কর্তব্য হলো, দলমত নির্বিশেষে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা। সাহায্য সংস্থা, সাহায্য সংগঠন ইত্যাদি তৈরী করা। তাহলে আর সুযোগসন্ধানীদের সুযোগ থাকবে না।
৫. ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি : বলা হয়, অর্থনীতিই হলো সমাজের মূল চালিকাশক্তি। আর অর্থনীতির গোড়ায় আছে ব্যবসা-বাণিজ্য। কাজেই ইসলামের আলোকে ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন প্রচারনা ইত্যাদি সবকিছুই ধর্মান্তরের চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত নস্যাত করে দিতে পারে।
ব্যবসায়িক ব্রান্ড, বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড সবই আজ ধর্মান্তরের প্রচারনায় লিপ্ত। এ দিকটায় গভীর দৃষ্টি দেয়ার সময় এসেছে।
এছাড়া :
ক. মুসলিমদের মৌলিক আকীদাগুলো শিক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি এবং সাধারণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তরে গেঁথে দেয়া।
খ. উম্মতের সর্বস্তরে দ্বীনের গুরুত্ব এবং দ্বীনী আত্মমর্যাদাবোধ ছড়িয়ে দেয়া।
গ. যেসব মাধ্যম/মিডিয়া ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করে, সেসব সম্পর্কে কঠোর অবস্থান নেয়া; জনগণকে সতর্ক করা; সম্ভব হলে সেগুলো প্রচার/প্রকাশ বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা।
ঘ. ধর্মান্তরের পদ্ধতি, সমস্যা, ক্ষতিগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা। ধর্মান্তরকারীদের কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা।
ঙ. মুসলিমদের জীবনের যাবতীয় বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দিককে প্রাধান্য দেয়া।
চ. একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অমুসলিম দেশে সফর করা থেকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সতর্ক হওয়া।
ছ. মুসলিমদের পরস্পরিক সহযোগিতামূলক সংগঠন গড়ে তোলা। যেগুলো দরিদ্র মানুষের উপকার করবে, অসহায়ের পাশে দাঁড়াবে। যেন এসব বিষয়ে ধর্মান্তরকারীদের চক্রান্তে পড়তে না হয়।
পাঁচ. কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান :
ক. ইন্দোনেশিয়ায় গত চল্লিশ বছরে খ্রিস্টানদের মোট সংখ্যা ১.৩ মিলিয়ন থেকে ১১ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।[২১]
খ. ১৯৬০ এর পূর্বে নেপালে কোনো খ্রিস্টান অফিশিয়ালি বসবাসের সুযোগ পেত না। এখন সেখানে ৭৫টা জেলার সবগুলোতে চার্চ আছে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন খ্রিস্টান জনসংখ্যা নিয়ে।[২২]
গ. Book of Acts এ একজন চার্চ লিডার তার বন্ধুকে লিখেন, “তোমাদের শক্তিশালী প্রার্থনায় প্রভু জানুয়ারী থেকে জুনে ২০০৬ এর মধ্যে ৪৪৫২ জনকে রক্ষা করেছেন (ধর্মান্তর করেছেন) এবং ১৫০টা চার্চ স্থাপন করেছেন। প্রার্থনার অনুরোধ : আমাদের লক্ষ্য ২০০৬ এ ৩০০ চার্চ স্থাপন করা এবং ৯০০০ মানুষকে রক্ষা করা (ধর্মান্তর করা)।[২৩]
ঘ. ১৮৮১ সনে বাংলাদেশে প্রতি ৬০০০ মানুষে একজন খ্রিস্টান ছিল। ২০০০ সনে তা এসে দাঁড়ায় ১১ জনে একজন। ২০১৫ তে তাদের লক্ষ্য হলো প্রতি তিনজনে একজন।[২৪]
ঙ. ২০০৫ এ ভারত ছিল পৃথিবীর ৭ম বৃহত্তম খ্রিস্টধর্মী দেশ। ২০২৫ এ তা ৫ম এ উন্নীত হবে। [২৫]
চ. আর ২০০৫ এ ভারত ছিল পৃথিবী ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। যা ২০২৫ এ ৩য় তে চলে যাবে।[২৬]
ছ. আশার কথা হলো, পৃথিবীর ১০ বৃহত্তম খ্রিস্টধর্মী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। আর বৃহত্তম মুসলিম দেশের তালিকায় ২০০৫ এ বাংলাদেশ ৩য়, কিন্তু ২০২৫ এ ২য় হয়ে যাবে।[২৭] তবে ভারতের মিডিয়া ও বিভিন্ন প্রভাব বাংলাদেশকে কোথায় দাঁড় করায় সেটাই দেখার বিষয়।
জ. ১৫ই জানুয়ারী, ২০১২ এর হিসাব মতে ইন্টারনেটে মোট পেইজের সংখ্যা ৮.৩৫ বিলিয়ন (৮৩৫ কোটি)।[২৮] তবে দু:খের বিষয় হলো, ইন্টারনেটে প্রতি সেকেন্ডে ২৮,২৫৮ জন ব্যবহারকারী অশ্লীল পেইজ ভিজিট করে থাকেন।[২৯]
ঝ. ৭৫০ জন মুসলিম থেকে ক্রিস্টান কনভার্টের ওপর একটি জরিপ করা হয়। যা থেকে ৫টি কারণ উদঘাটন করা হয়, যে কারণে তারা ধর্ম পরিবর্তন করেছেন।
১. খ্রিস্টানদের জীবন-যাপন পদ্ধতি। ২. প্রচলিত ইসলামের প্রতি অনাগ্রহ। এবং ৩. বাইবেলের ভালবাসার দীক্ষা। [৩০]
এই জরিপ থেকে এটা স্পষ্ট যে, যাদের খ্রিস্টান বানানো হয়, তাদেরকে মুসলিমদের জীবন যাপন পদ্ধতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেয়া হয়। এবং প্রচলিত ইসলামের নানা অসঙ্গতিগুলোকে তাদের কাছে মৌলিক ইসলাম রূপে পেশ করা হয়, যার ফলে তাদের অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। এবং পরিশেষে বাইবেলের ভালবাসার আহ্বান তুলে ধরা হয়। অথচ আল-কুরআনে প্রতিটি সূরায় এবং রাসূল স. তাঁর হাদীসে যে ভালবাসার আহ্বান জানিয়েছেন, তার চেয়ে বড় আর কোনো ভালোবাসার আহ্বান হতে পারে না।
রাসূলুল্লাহ স. বলেন, দয়াশীলদের মহান দয়ালু (আল্লাহ তা’আলা) দয়া করেন। পৃথিবীতে যারা আছে (মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টি) তাদের প্রতি দয়া করো। তাহলে উপরে যিনি আছেন (আল্লাহ তা’আলা) তিনিও তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। [৩১]
এ ছাড়াও দয়া, মায়া আর ভালোবাসার হাদীস রাসূলের স. হাদীস ভান্ডারে অসংখ্য। তিনি নিজেই ছিলে দয়ার জীবন্ত প্রতীক। তাঁর কাছে একজন মুসলিম যে মায়া ও ভালোবাসা পেত, একজন অমুসলিমও সেই ভালোবাসা নিয়ে ফিরে যেত।
ছয়. কিছু সংবাদ শিরোনাম :
ক. বাংলাদেশে খ্রিস্টান মিশনারীদের গরিব হিন্দু-মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অপপ্রচেষ্টা [৩২]
খ. ময়মনসিংহে ৫৫ মুসলিমকে ধর্মান্তরের চেষ্টা : ৩ ধর্মযাজক আটক [৩৩]
গ. পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র : সেনা সদরের হুঁশিয়ারি [৩৪]
ঘ. দামুড়হুদায় চিকিৎসা সেবার নামে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের সময় ৬ জন আটক [৩৫]
ঙ. পার্বত্য চট্টগ্রাম খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল গড়তে বিভিন্ন তত্পরতা [৩৬]
চ. তানোরে সাঁওতাল সম্প্রদায় ধর্মান্তরিত হচ্ছে [৩৭]
ছ. পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক ধর্মান্তরকরণ নিয়ে প্রশ্ন : খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলই কি লক্ষ্য? [৩৮]
[১] The ARDA (Association of Religious Data Archives), http://www.thearda.com/internationalData/countries/Country_19_1.asp
[৩] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, তৃতীয় ভাগ (মৌলিক অধিকার), ৪১তম ধারার (ধর্মীয় স্বাধীনতা) ১ উপধারার ক ও খ অনুচ্ছেদ, http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_sections_detail.php?id=957§ions_id=30007
[৪] বাংলাদেশে খ্রিস্টান মিশনারীদের গরিব হিন্দু-মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অপপ্রচেষ্টা, http://www.hindupage.org/ ১৯-২-২০১১
[৫] পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র : সেনা সদরের হুঁশিয়ারি, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ১৫-৪-২০১১, http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=1108
[৬] التنصير، تعريفه أهدافه وسائله حسرات المنصرين, আব্দুর রহমান বিন আব্দুল্লাহ আস সালিহ, দারুল কুতুবি ওয়াস সুন্নাহ, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৯
[৭] التحذير من وسائل التنصير, আল লাজনাতুত দায়িমা লিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা
[৮] আল-কুরআন, ২:১০৫
[৯] আল-কুরআন, ২:১০৯
[১০] আল-কুরআন, ৩:১০০
[১১] আল-কুরআন, ৮:৩৬
[১৩] التبشير والاستعمار, মুস্তাফা খালিদী, পৃষ্ঠা : ৫৯৫
[১৪] حقيقة التبشير, আহমাদ আব্দুল ওয়াহহাব, পৃষ্ঠা : ১৬৬
[১৫] تنصير المسلمين পৃ:২০
[১৬] التنصير خطة لغزو العالم الإسلامي পৃ:৫৩২
[১৭] مجلة الدعوة السعودية সংখ্যা ১৬৬৪
[১৮] আল-কুরআন ৮:৩০
[১৯] আল-কুরআন ৯:৩২
[২০] আল-কুরআন ২:২০৮
[২১] http://prayerfoundation.org/ এর সূত্র মতে Operation World
[২২] http://prayerfoundation.org/ এর সূত্র মতে Operation World
[২৩] http://prayerfoundation.org/ এর সূত্র মতে Vision 2020
[২৪] Challenges of Islamic Dawah in Bangladesh, নেয়া হয়েছে Nuruzzaman, Bangladesh in the Web of Creeping Colonialism পৃ:৬৪ থেকে
[৩১] সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ১৯২৪; সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯৪১
[৩২] http://www.hindupage.org/ ১৯-২-২০১১
[৩৩] দৈনিক আমারদেশ, ২৭-৫-২০১০ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33826
[৩৪] সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ১৫-৪-২০১১ http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=1108
[৩৫] সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ১-৪-২০১১ http://weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=956
[৩৬] দৈনিক আমারদেশ, ১২-৮-২০১১ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/12/98820
[৩৭] দৈনিক আমারদেশ, ৯-৮-২০১১ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/09/98153
[৩৮] দৈনিক আমারদেশ, ১৩-৮-২০১১ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/13/98854
এই আর্টিকেলটি গত ২৬শে জানুয়ারী ২০১২ কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তন, সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে র্ধমান্তরের অপতৎপরতা : ওলামায়ে কিরাম ও সুধীজনদরে করণীয়” র্শীষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ হিসেবে পাঠ করা হয়। এবং সেমিনার উপলক্ষে প্রকাশিত “খ্রীষ্টবাদ ও ইসলাম” নামক ছোট বইয়ে তা প্রকাশিত হয়।
Jazakallahu Khair for addressing this issue. This has become a very alarming phenomenon in Bangladesh over the recent years. I think that’s the reason why there is an increased emphasis given from Kakrail recently on sending jamaats to remote areas, particularly in the hill tracts, to help prevent this.
Apart from the efforts of the NGOs in rural areas, atheist propaganda has become quite common nowadays in the bangladeshi internet media. I think the Ulama of Bangladesh needs to look into this platform as well and the internet community is lacking the presence of good bangladeshi scholars who can provide authentic information and resist these efforts to drive people away from Islam, and religion in general.
Shukran. May Allah help us strengthen our iman. Aameen.
লেখাটি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। স্মারকে লেখাটা পড়েছিলাম। স্মারকটি আমার সংগ্রহে ছিল না। তাই লেখাটি পোস্ট করায় অনেক উপকার হয়েছে। জাযাকাল্লাহ্।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আসসালামু আলাইকুম। ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের এই সকল ষড়যন্ত্র থেকে আমাদের বাঁচার জন্য আমাদের বেশি বেশি ইসলামের তাবলীগ বা দাওয়াত প্রদান করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা প্রকাশ করার জন্য। আল্লাহ পাক আমাদের এই সকল কাফির হতে রক্ষা করুন এই প্রার্থনা আল্লাহ পাকের নিকট করি। খোদা হাফেজ।
ওয়ালাইকুম আসসালাম। তাবলীগে দ্বীনই আমাদের এ সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
“আর এ লক্ষ্য নিয়েই ১৯২৬ সনে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠা হয় এ স্লোগান নিয়ে – হে মুসলিমগণ! মুসলিম হও।” কথাটি সত্য নয়। তাবলীগ কোন জামাতের নাম নয়। তাবলীগ একটি আ’মাল। সমস্ত নবীদের প্রাথামিক ও প্রধান আ’মালই ছিল তাবলীগ। আখেরী নবীর উম্মত হবার কারণে এই কাজ এখন আমাদেরও কাজ। এই কাজ অনলাইনে ব্লগিংএর দ্বারা হবে না। হবে নবীওয়ালা তরীকায়। এজন্য এই কাজ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন হযরত আদাম আ.
বইটি ইসলাম হাউজে দিতে চাই।
আপনার অনুমতি থাকলে আমাকে এর একটি সফট কপি সরবরাহ করুন।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
ড. যাকারিয়া