Juma Bayan | Eve teasing and its prevention procedures in Islam | ইভটিজিং প্রতিরোধে ইসলাম

বিবরণ: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। নামাজ-রোজা-হজ্জ্ব-জাকাত ইত্যাদি ইবাদত ছাড়াও পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ে ইসলাম কথা বলে। ইবাদতে সৌন্দর্য্য আনার জন্য যেমন বিধান রয়েছে, তেমনি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রে শান্তি-সৌন্দর্য্য আনার জন্যও ইসলামে বিধান রয়েছে। সমাজের সব অনিষ্ট দূর করে তাতে শান্তির ছোঁয়া এনে দেয়াই ইসলামের লক্ষ্য।

গত কয়েক সপ্তাহের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে শিরোনাম হচ্ছে একটি শব্দ। ইভটিজিং। এই শব্দটিকে ঘিরেই আয়োজিত হচ্ছে সভা-সেমিনার, রচিত হচ্ছে মানববন্ধন। আবার এই শব্দটির বলি হয়েই আমরা হারাচ্ছি অসংখ্য শিশু, কিশোরী ও যুবতী প্রাণ। যা নি:সন্দেহে আমাদের সমাজের বড় একটি নৈতিক অবক্ষয়কে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয়।

অবশ্য এ অবক্ষয় আজ নতুন নয়, আবার আমাদের দেশই এর প্রথম শিকার নয়। গত বছর জুন মাসে ভারতের পত্র-পত্রিকায় ছাপা সংবাদগুলো আমাদের জানিয়ে দেয় যে, এ সমস্যায় তারা আরো বেশি জর্জরিত এবং এটা রোধে তারা যে কোনো সমাধান মেনে নিতে প্রস্তুত। যার ফলশ্রুতিতে সে সময় উত্তর প্রদেশের কানপুরের চারটি কলেজ ছাত্রীদের ‘ড্রেস কোড’ বেধে দিতে বাধ্য হয়। গত বছর মিশরও এ সমস্যা খুব ভালোভাবেই অনুভব করে এবং মসজিদে মসজিদে আলেমগণ এ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মসজিদ থেকেই এর প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেন। আমাদের দেশেও গত কয়েক মাস পূর্বে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পর ছাত্রীদের ‘ড্রেস কোড’ বেধে দিতে বাধ্য হয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভারতে সে সময় ইভটিজিং প্রতিরোধে বিভিন্ন লেখক লেখিকা যে পরামর্শ দেন, তা ইসলামের সাথে মিলে যায়। এবং আবারো প্রমাণ করে যে, এসব নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধে ইসলামী অনুশাসনই একমাত্র কার্যকর ব্যবস্থা।

বক্ষমান বয়ানে আমরা সে বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমরা বলার চেষ্টা করি যে, ইসলাম বিশ্বাস করে, “prevention is better than cure”. তাই ইসলাম প্রথমে ইভটিজিং prevention এর জন্য কয়েকটি পন্থা বলে দেয়। এরপর কেউ অমান্য করে অপকর্ম করলে তার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান দেয় ইসলাম। ইসলাম জানে যে, শুধু নৈতিক শিক্ষা দিয়ে একটি জাতিকে ঠিক রাখা যায় না। তাই নমনীয় নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি অনমনীয় কঠোর আইনও করে দেয় ইসলাম। ইসলাম বিশ্বাস করে, কঠোর আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সমাজে এসব অপকর্ম শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। তাই তো আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,

وَلَكُمْ فِي الْقِصَاصِ حَيَاةٌ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ
হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের (মৃত্যুদন্ডের) মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রয়েছে। (২:১৭৯)
এই বয়ানের চারটি অংশ।
১. পুরুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ
২. নারীর প্রতি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ
৩. পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি ইসলামের নির্দেশ
৪. ইসলামী আইন

তারিখ: ২৮ মে, ২০১০।

স্থান: বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, মালিবাগ রেইলগেট, ঢাকা।

Contact Us | Track details | YousufSultan.com