প্রসঙ্গ কেনিয়ার এম-পেসা ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা

আন্তর্জাতিক যে কোনো কনফারেন্স বা সেমিনারে উপস্থিত হই, কেনিয়ার এম-পেসা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। মোবাইলের মাধ্যমে কেনা-বেচা, টাকা পাঠানো ইত্যাদি পরিসেবা দিয়ে বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচনায় আসে সার্ভিসটি। 
(এম-পেসা কেনিয়া: https://goo.gl/FC6DI0)

সম্প্রতি কেনিয়া ইসলামী ব্যাংকিং আইন অনুমোদনের পথেও এক ধাপ এগিয়ে যায়। সাড়ে চার কোটি জনসংখ্যার মাত্র ১১% মুসলিম হয়েও তারা ইসলামিক ফাইন্যান্সের ব্যাপারে আগ্রহী। 
(দেখুন: https://goo.gl/SlLS0j)

ওপরে বর্ণিত দুটো চিত্রের একটির সাথে সরাসরি ইসলামী ফাইন্যান্সের সাথে সম্পর্ক নেই, পরেরটির সাথে আছে।

প্রথমটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিকাশ সার্ভিসকে তুলনা করা যায়। প্রায় প্রতিটি গ্রামে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে এখন এই সার্ভিস। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ১৬ কোটি মানুষকে দেয়া এই সার্ভিসের তেমন কোনো হাঁকডাক নেই। বাংলাদেশে এমন সার্ভিস আছে – এ কথা দুটো বড় প্রতিষ্ঠানের সিইওকে বলার পর তারা বেশ আশ্চর্যবোধ করল।

দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বলবো, বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকিং শুরু করে ১৯৮৩ তে। জনসংখ্যার প্রায় ৯০% মুসলিম। অথচ ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স নিয়ে এখনো কোনো আইন নেই, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও নিম্নমুখী।

ইসলামী বা সাধারণ – কোনো পরিসেবাতেই বাংলাদেশের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না। সোশাল মিডিয়া জুড়ে খেলা, রাজনীতি, বিভিন্ন চেতনা, সেলিব্রেটিদের সংবাদ ইত্যাদি নিয়েই মানুষ ব্যস্ত।