প্রসঙ্গ জনৈক সাবেক মন্ত্রীর পৃথিবী থেকে বিদায়

ইসলাম মানুষকে জীবিত-মৃত সর্বাবস্থায় যথাযথ সম্মানে ভূষিত করেছে।

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ 
আমি আদম-সন্তানকে সম্মানিত করেছি। (আল-ইসরা, ১৭:৭০)

জীবিতাবস্থায় তার প্রাণ সর্বোচ্চ সম্মানিত। প্রকৃত হক ছাড়া প্রাণ নেয়ার কোনো বৈধতা দেয়া হয় নি। অন্যায়ভাবে প্রাণ হরণে ক্ষেত্রভেদে ক্বিসাস ও দিয়্যাহর বিধান রেখেছে। তার সম্পদ রক্ষার্থে চুরি ও ডাকাতির কঠোর শাস্তি দিয়েছে। আত্মসম্মান রক্ষার্থে ভুয়া অপবাদের শাস্তি দিয়েছে। মস্তিষ্কের বিকৃতি রোধে মদ খাওয়ার শাস্তির বিধান দিয়েছে। বংশ পরিচয় রক্ষার্থে যিনা বা অবৈধ সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছে এবং ক্ষেত্রভেদে বেত্রাঘাত ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখেছে।

মৃত্যুর পর তাকে যথাযথভাবে গোসল দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে, পরিচ্ছন্ন কাপড়ে সম্মানের সাথে তার জন্য প্রার্থনা (জানাযা) করে কবরস্থ করার বিধান দিয়েছে।

মৃত্যুর পর পরিবারের সামনে আগুনে পোড়ানো কতটা বর্বর, বীভৎস ও বেদনাদায়ক, তা নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তির মা-সন্তানই সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করবেন। ইসলাম মানবজাতির জন্য কতটা রাহমাহ বা blessing তা উপলব্ধি করতে পেরে প্রতিনিয়ত আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ।

رضيت بالله ربا، وبالإسلام دينا، وبمحمد رسولا -عليه الصلاة والسلام
“আমি আল্লাহকে রাব হিসেবে পেয়ে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে এবং মুহাম্মাদ সা. কে রাসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।”

আমাদের দায়িত্ব আমাদের ভাই-বোনদেরকে এই রাহমাহর দিকে ডাকা। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট মতপার্থক্যে সময় ক্ষেপণ না করে তাদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য, যুক্তি ইত্যাদি তুলে ধরে শান্তি ও ইহ-পরলৌকিক সম্মানের পথে ডাকা। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।