প্রসঙ্গ মিটু হ্যাশট্যাগ ও সমাজের কদর্য চেহারা

মিটু হ্যাশট্যাগের পোস্টগুলো পড়লে এ হাদীসটি সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে:

নারী-পুরুষ কোথাও একাকী হলে সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে শয়তান থাকবেই। (তিরমিযী: ১১৭১)

হাদীসে এ একাকীত্বকে ‘খালওয়াহ’ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। খালওয়া এমন অবস্থা, যখন নারী-পুরুষ তৃতীয় কারো সেখানে প্রবেশ না করার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে।

শয়তানের যেখানে উপস্থিত হওয়া নিশ্চিত, সেখানে অঘটন ঘটাই তো স্বাভাবিক। বরং, অঘটন না ঘটাটা অস্বাভাবিক, যা কদাচিৎ হতে পারে, সম্ভাবনার হার খুব কম।

এ বিষয়টা আমাদের ভাই-বোন সবাইকে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমাদের সন্তানদের ব্যাপারেও খুব খেয়াল করতে হবে। হাদীসে কিন্তু বলা হয়নি যে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বা ক্লাসমেট হলে ব্যাপারটা ভিন্ন হবে।

নারীদের যেমন এরকম যে কোনো অবস্থা থেকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে, পুরুষদেরকেও তেমন নিজেদেরকে এক্ষেত্রে অবিশ্বাস করতে হবে। নিজের ব্যাপারে অতি আত্মবিশ্বাস ও এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে ঠেলে দেয়া চূড়ান্ত বোকামি। মানুষ কোনো ফেরেশতা নয়, ভালো-মন্দের সক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়েছে। আবার মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন মুহূর্তের ব্যাপার। কাজেই শয়তান যেখানে উপস্থিত, সেখানে নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ সহজ ব্যাপার নয়।

এখানে আরেকটা বিষয় স্পষ্ট যে, নারী-পুরুষের অবাধ সম্মিলন, পুরুষের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ না করা, মাদক-পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা, অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট, অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া – ইত্যাদি সবকিছু এরকম অপরাধের সম্ভাবনাকে আরো শক্তিশালী করে দেয়। সমাজ এভাবেই চললে এমন হাজারো অপরাধের কথা আমরা জানতে পারবো, আফসোস ছাড়া কিছুই করার থাকবে না আমাদের।

#metoo #modesty