মহিমান্বিত রামাদান মাসে স্বাগতম:

আলহামদুলিল্লাহ আজ মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই রামাদানের প্রথম দিন চলছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই রামাদান যথার্থভাবে কাটানোর তাওফীক দিন। আমীন। এই রামাদানকে যথার্থভাবে কাটানোর পরিকল্পনা সারার জন্য কিছু রিসোর্স শেয়ার করছি।

১. কিছু দিন আগে ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ায় (UPM) প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্তৃক আয়োজিত একটি ইভেন্টে রামাদানের প্রস্তুতি হিসেবে একটি আলোচনা ও একটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের সুযোগ হয় আলহামদুলিল্লাহ।

আলোচনায় মূলত সালাফে সালেহীনের রামাদান কেমন ছিল, তাঁরা কীসে গুরুত্ব দিয়েছেন, সময়কে কীভাবে কাজে লাগিয়েছেন, তা তুলে ধরা হয়েছে।

আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, তাঁরা যে ২৪ ঘণ্টা সময় পেতেন, সে ২৪ ঘণ্টা আমরাও পাই। তাহলে তারা এক দিন, দুই তিন, তিন দিন বা সাত দিনে কুরআন খতম করেছেন শুনলে আমাদের আশ্চর্য লাগে কেন? কারণ আমরা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ইত্যাদির কারণে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি না, গুরুত্ব বা প্রায়োরাটাইজেশন করি না। আমাদের সময়ে তাই বরকত হয় না।

আলোচনার স্লাইডসহ ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/-ejWc6kz4VE

স্লাইড ডাউনলোড করুন: https://goo.gl/4PgiYx

——

২. ওয়ার্কশপে প্রথমে আমরা যে কোনো বিষয়ে পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেছি। আমরা দেখেছি, রাসূলুল্লাহ স. তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনায় কত নিখুঁত পরিকল্পনা করে এগিয়েছেন। বিশেষত হিজরতের বেলায়, কোন পথে যাবেন, সঙ্গী কে হবেন, পথ প্রদর্শক কে হবেন ইত্যাদি সব পরিকল্পনার অংশ ছিল। পরিকল্পনা ছাড়া কিছু করা মানে 
আদতে কাজটির ব্যর্থতার পরিকল্পনা করা। আর রামাদানের মতো একটি মাসের জন্য 
সঠিক পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই।

ওয়ার্কশপে মূলত আমরা দুটো অনুশীলনী করেছি। একটি পাঁচজন করে ছোট ছোট দলে। অপরটি ব্যক্তিগত।

দলীয় অনুশীলনে দুটো প্রশ্ন ছিল। ক. যে তিনটি বিষয় এ রামাদানে আমি অর্জন/ করতে চাই। খ. যে তিনটি বিষয় এ রামাদানে আমি বর্জন করতে চাই।

নির্দেশনা ছিল যে, আমরা প্রত্যেকে আমাদের অতীতের রামাদানগুলোর ত্রুটিগুলো স্মরণ করবো, এবং ইবাদাহর ক্ষেত্রে নিজেদের ঘাটতিগুলো লক্ষ্য করবো। সে অনুযায়ী কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করবো। যেমন, একটি সূরা মুখস্থ করা, প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করা ইত্যাদি।

প্রত্যেকের লক্ষ্যগুলো লেখা হয়ে গেলে যার যার দলে প্রত্যেকে সেটা আলোচনা করবেন।

অনুশীলনীর উদ্দেশ্য হলো লক্ষ্য স্থির করা, নিজের প্রতি নিজে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া, এবং অন্যের লক্ষ্য জেনে ইবাদাহর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাওয়া।

আলহামদুলিল্লাহ অনুশীলনী শেষে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে চমৎকার সব লক্ষ্য আমরা জেনেছি। যেমন, করণীয় হিসেবে:

১. প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করা
২. তারাবীহ ঠিক মতো পড়া
৩. এক বার কুরআন পড়ে শেষ করা 
৪. কুরআনের অর্থ বুঝার চেষ্টা করা 
৫. যাকাত হিসাব করে আদায় করা
৬. একটি সূরা মুখস্থ করা
৭. গরীবদেরকে ইফতার করানো

বর্জনীয় হিসেবে:

১. মিথ্যা বর্জন করা
২. গীবত বর্জন করা
৩. ফেইসবুক বর্জন করা
৪. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা

ইত্যাদি।

আলহামদুলিল্লাহ অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন একাডেমিশিয়ান ও অন্যান্যদের ফিডব্যাক অসাধারণ ছিল।

অনুশীলনে দেয়া কাগজ: https://goo.gl/WhiQEN

(চাইলে নিজ পরিবারকে নিয়েও অনুশীলনটা করা যেতে পারে)

ওয়ার্কশপের স্লাইড ডাউনলোড করুন: https://goo.gl/wPbW7n

——

৩. ওয়ার্কশপে দ্বিতীয় অনুশীলন ছিল ব্যক্তিগত। প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার একটি ফাঁকা রুটিন দেয়া হয়। বলা হয় প্রত্যেকে যেন নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী রুটিনটিকে সাজান। লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জরুরী। রুটিন তৈরি করা এরই অংশ।

অনুশীলনে দেয়া কাগজ: https://goo.gl/1A00jm

(চাইলে নিজেও অনুশীলনটা করা যেতে পারে)

ওয়ার্কশপের স্লাইড ডাউনলোড করুন: https://goo.gl/wPbW7n

——

৪. গত বছর যাকাত কীভাবে হিসাব করতে হয় এবং কাকে দেয়া যায় – শিরোনামে দুটো ভিডিও প্রেজেন্টেশন করা হয়েছিল। আজ সেগুলো আবার শেয়ার করছি। আশা করি অনেকে উপকৃত হবেন ইনশা’আল্লাহ।

যাকাত কীভাবে হিসাব করতে হয়: https://youtu.be/bW4oyoUd7TM

যাকাত কাকে দেয়া যায়?: https://youtu.be/b3qcSUeUx2U

জাযাকুমুল্লাহ।