শরীয়তের দৃষ্টিতে ট্রল-প্র্যাংক

আজকাল সোশাল মিডিয়ায় যাকে তাকে টার্গেট করে ব্যঙ্গাত্মক ছবি বানিয়ে মজা নেয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যাকে ট্রল বলে অভিহিত করা হয়। আবার পথে ঘাটে মানুষকে নানাভাবে মিথ্যা ভয় দেখিয়ে ও বিব্রত করে ভিডিও তৈরি করে মজা নেয়া হয়, যাকে প্র্যাংক বলে অভিহিত করা হয়।

অন্যকে নিয়ে মজা করার এ প্রবণতার মাঝে কয়েকটি বিষয় দেখা যায়:

প্রথমত অবমাননা, অপমান: কাউকে অপদস্থ করা বা তার সম্মানহানি করা শরীয়ত খুব গুরুত্বসহ দেখে। বিশেষ করে তা যখন অপবাদ পর্যায়ের হয়, বা যার ফলে এমন দোষ চাপানো হয় যা ব্যক্তি করে নি, তখন ক্ষেত্রবিশেষে চরম শাস্তির ঘোষণাও শরীয়ত দিয়েছে। এর কারণ হলো, মানুষের সম্মান রক্ষা করা তার মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। শরীয়তের বিভিন্ন বিধিবিধান বিশ্লেষণ করলে মানুষের যে পাঁচটি বিষয় রক্ষা করার উদ্দেশ্য পাওয়া যায়, তন্মধ্যে সম্মান রক্ষা করা অন্যতম।

দ্বিতীয়ত, মিথ্যা: এ ধরণের ট্রল বা প্র্যাংকে প্রচুর মিথ্যা ও বানোয়াট কথা ব্যবহার করা হয়। বা কখনো মূল বক্তব্য সত্য হলেও তাকে অযথা টেনে নিয়ে সত্যের গণ্ডি থেকে বের করা হয়, যা মিথ্যারই নামান্তর।

এ দুটো ছাড়াও ব্যক্তির গীবত বা দোষচর্চা, তাকে কষ্ট দেয়া – ইত্যাদি হাক্কুল ইবাদ লঙ্ঘন তো রয়েছেই।

কারো যদি সওয়াবের ব্যাগ ভারী হয়ে থাকে, তাহলে এসবে অনায়াসে সময় দিতে পারেন। তবে আমাদের যাদের সওয়াবের ব্যাগ খালি, তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিচার দিবসে সাওয়াব-এক্সচেঞ্জে ভিকটিমকে নিজের সাওয়াব দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। সাওয়াব শেষ হয়ে গেলে তার গোনাহের বোঝা নিতে হবে, ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ।