#হালালচিন্তা #পড়াশোনারকোনোবয়সনাই

মালয়েশীয় ভাইটা তেইশ বছর বয়সে বিয়ে করেছে, এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান ও পরিবারকে সময় দিয়ে পড়াশোনা কত কষ্টের তা শেয়ার করতে গিয়ে যখন জানলো আমার দুই সন্তান, তারপরও পিএইচডি করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ইনশা’আল্লাহ, সে খুব উদ্বুদ্ধ হলো, বললো, তোমাকে দেখে আমি উদ্বুদ্ধ হলাম।

ইতোমধ্যে সোমালীয় এক ভাই এসে বসল, ছিমছাম, দেখতে ‘পোলাপান’ টাইপের। সন্তান ও পরিবার সাথে নিয়ে পড়াশোনার কষ্ট নিয়ে আমাদের আলোচনার মাঝে বারবার ঢোকার চেষ্টা করছিল। আমরা খুব একটা পাত্তা দিচ্ছিলাম না। সে একটু জোর গলায়ই বললো, কীসের কষ্ট!

আমরা কিছুটা হেসেই বললাম, তুমি কীভাবে বুঝবে, বিয়ে করেছ?
“হ্যাঁ করেছি”।
-তাই?! সন্তান আছে?
“হ্যাঁ অবশ্যই।
-তাই!! কয়জন?
“চার জন”
-কী!!! বড় জনের বয়স কত?
“এগার বছর।”
-কী?!!!! তোমার বয়স কত? বিয়ে করেছ কত বছর বয়সে?
“সতের বছর বয়সে, হাই-স্কুলে থাকতে বিয়ে করেছি। বছর খানেক পরই প্রথম সন্তানের জন্ম।”
-তাই?!!!!! তোমাদের ওখানে কি ব্যাপারটা সাধারণ? মানে মানুষ অন্যভাবে দেখে না?
“না, অন্য ভাবে দেখবে কেন? অনেকেই এ বয়সে বিয়ে করে। তোমাদের দেশে কী অবস্থা?”
-হাহ!!! আমাদের দেশে এ বয়সে বিয়ে করলে এত দিনে তুমি খবরের শিরোনাম হতে! কারণ আইনত, ছেলেদের ২১ বছরের নিচে আর মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
“কেন? এ রকম আইনের পেছনে লজিক কী?”

তাকে আর লজিক বুঝাতে পারি নি। যেখানে এ বয়সে বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড থাকছে, সেখানে বিয়ে করতে সমস্যা কী, তার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।

মালয়েশীয় ভাইটা বললো, মালয়েশিয়ায় এমন কোনো আইন নেই, তবে সামাজিকভাবে কম বয়সে বিয়ে করাটাকে একটু অন্য ভাবেই দেখে।

সোমালীয় ভাইটা বললো, ওই বয়সে বিয়ে করলে যে রেস্পন্সিবিলিট আসে, রিযিকের দ্বার খুলে যায়, তা মানুষ বোঝে না!

অবশেষে আমি আর মালয়েশীয় ভাই দুজনই সোমালীয় ভাইটাকে বললাম, “তোমাকে দেখে আমরা ইন্সপায়ার্ড!”

#হালালচিন্তা #পড়াশোনারকোনোবয়সনাই