নারী দিবসের ভাবনা

আমরা যখন আমাদের সহধর্মিণী, কলিজার টুকরো কন্যা সন্তান, আদরের ছোট বোন বা বড় বোনের প্রাপ্য অধিকার ঠিক মতো বুঝিয়ে দিচ্ছি না, তখন অন্যরা এসে তো তাদের ভাবনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেই। অধিকার দেয়ার কথা বলে অবশিষ্ট সম্মান-অধিকারটুকুও ছিনিয়ে নিতে চাইবে।

পরিচিত ও কাছের অনেককেই দেখেছি নারীকে (বোন বিশেষত) তার প্রাপ্য উত্তরাধিকারের সম্পদ বুঝিয়ে না দিতে। বিভিন্ন বাহানায় এমন অবস্থা তৈরি করতে, যেন বোন মনে করে যে, বাবার সম্পদের ভাগ নিলে ভাইদের সাথে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হবে। ফলে তারা মুখ বুঝে সয়ে নেয়, তবে আড়ালে কাঁদে।

বিষয়টা এত সর্বজনীন অনেক জায়গায় যে, এটাকে তেমন কোনো সমস্যাই মনে করে না। যারা বোনকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করছে, তাদের অনেকেই বেশ ধার্মিক। অথচ এটা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়া বা মেরে দেয়ার মতোই বিষয়। যা হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক নষ্ট করা। এবং এ অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রকৃত উপায় হলো ওই বোন/নারীকে তার সম্পদ (যদি বিদ্যমান থাকে) ফেরত দিয়ে ক্ষমা চাওয়া। নতুবা সমমূল্য কিছু দিয়ে তার থেকে ক্ষমা নেয়া। সর্বশেষ কিছু দেয়ার না থাকলে তার কাছ থেকে নি:শর্ত ক্ষমা চাওয়া।

বান্দার হক বড় জটিল। এ বিষয়ে সকল পরিবারে খোলামেলা আলোচনা ও সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদেরকে সকলের প্রাপ্য অধিকার সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়ার তাওফীক দিন। আমীন।