প্রযুক্তি সহায়তা ও সাদকায়ে জারিয়াহ

গত কয়েক বছরে প্রযুক্তিতে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। লেখাপড়া, গবেষণা, ক্রয়-বিক্রয়সহ অনেক কিছুই এখন অনলাইনে হচ্ছে। প্রযুক্তির এ ছোঁয়া লেগেছে কওমী মাদ্রাসাগুলোতেও।

একসময় মাদ্রাসাগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা থাকলেও বর্তমানে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাদ্রাসাগুলো গবেষণা ও দাওয়াহর কাজে প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটে দ্বীনী খিদমাতের অফুরান সম্ভাবনা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে উৎসাহী করে তুলছে। অনেকেই ওয়েব জগতে নানাভাবে অবদান রাখতে শুরু করেছেন।

ইন্টারনেটে দ্বীনী খিদমাতের সম্ভাবনা নিয়ে ব্যক্তিগত সাইটে একটি নিবন্ধ আছে। “ইন্টারনেট: দ্বীনী খিদমাতের এক উর্বর ক্ষেত্র” : https://yousufsultan.com/internet-a-fertile-field-for-preaching-islam/

প্রায় দিন বিশেক আগে এক ভাই ইনবক্সে জানান, নিবন্ধটি পড়ে তিনি মাদ্রাসায় কিছু কম্পিউটার দিতে আগ্রহ বোধ করছেন। অবশেষে আজ আলহামদুলিল্লাহ জামিয়া ও অপর একটি মাদ্রাসার জন্য ভাইয়ের দেয়া পাঁচটি কম্পিউটার কেনা হয়। আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।

দ্বীনী খিদমাতের মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তি সহায়তা একটি বড় সাদকায়ে জারিয়ার কারণ হতে পারে। এর মাধ্যমে যত দাওয়াহ ও গবেষণার কাজ করা হবে, ব্যক্তি সেগুলোর সওয়াব পেতে থাকবেন ইনশা’আল্লাহ।

আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনী খিদমাতে বেশি বেশি অংশ নেয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।