বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ধ্বস ও এর পরিণতি

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যে ধ্বস আনা হয়েছে তার পরিণতি ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। প্রথমে পাঠ্যপুস্তক থেকে কৌশলে ইসলাম সরানো হয়েছে, যার প্রভাব আমরা দেখছি, নৈতিকতাহীন এক জাতিতে পরিণত হয়েছি আমরা। যে জাতির কাছে ঘুষ সহনীয় হলে চলে, ব্যাংকের আমানত চার হাজার কোটি সরালেও সামান্য বিষয়। খাদ্যে ভেজাল, চিকিৎসায় ভেজাল, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীদের ভেজাল ও ধোঁকা – সবখানে অনৈতিকতার চর্চা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। পরবর্তী স্টেপে বৈষয়িক শিক্ষার দিক থেকেও জাতিকে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, এমনকি পরীক্ষার হলে দেখাদেখি, শিক্ষক কর্তৃক বলাবলিও।

গতবার দেশে গিয়ে এক আত্মীয়ের সাথে কথা হচ্ছিল। তার সন্তান সদ্যই একটি পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে। জানতে চাইলাম প্রশ্ন কি আগে পেয়েছিল কিনা। তিনি কিছুটা উত্তেজিত হলেন, বুঝালেন, অন্যদের মতো আগের রাতে তো আর আনেন নি। পরীক্ষার দিন সকালে ঘণ্টা খানেক আগে সন্তানের হাতে প্রশ্ন দিয়েছেন – এ আর কি এমন ব্যাপার! সবাই করে!

আরেক আত্মীয় দেশের একটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। যখনই কথা হয়, হলে ভাঙচুর আর মিছিলের কথা শুনি। আজও যখন কথা হচ্ছিল, জানতে পারলাম, বেশি কিছু সিএনজি পুড়িয়েছে ছাত্ররা, ভাঙচুর হয়েছে প্রচুর, সবাই হলের ভেতর ভয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে। এর আগে উঠতে বসতে র‍্যাগের গল্প শুনেছি তার কাছে। আমি বুঝি না, এরা পড়ে কখন?

আগামীতে এ দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং, এখনই চাকুরীর জন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। আগে তাও কিছু মুখস্থ বিদ্যা ছিল, এখন তা-ও নেই। প্রশ্ন হাতে, হলে উন্মুক্ত আলোচনার পরিবেশ! আমি বেশ শঙ্কিত!

পোস্টের প্রেক্ষিত: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10159610119635212&set=a.10158945337635212.1073741834.685495211&type=3