ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফিকহ অ্যাকাডেমির ২১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফিকহ অ্যাকাডেমি, জেদ্দা। ওআইসির উদ্যোগে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নানা আধুনিক বিষয়ে সমন্বিত ফিক্বহী গবেষণার কারণে উলামায়ে কিরাম ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে।

নতুন কোনো বিষয়ে এখানে পেপার আহ্বান করা হয়। অংশ নেন বিশ্বের নানা প্রান্তের উলামায়ে কিরাম। এরপর বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সপ্তাহব্যাপী কনফারেন্সে সেগুলো পেশ করা হয়। এবং সেগুলো পর্যালোচনার আলোকে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গবেষণার পেপারগুলো এবং সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। নতুন মাসায়েল নিয়ে গবেষণারত যে কোনো গবেষকের জন্য এগুলো অমূল্য।

গত ১৮-২২ নভেম্বর অ্যাকাডেমির ২১ তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয়ে পেপার এসেছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

১. মুসলিমদের মধ্যে পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ
২. Hedging – আর্থিক বাজারে সম্পদের ভাবী ক্ষতি কমানোর একটি প্রচলিত পদ্ধতি ও এর বিকল্প
৩. মাজহাব অনুসারীদের মধ্যে পরস্পর সংলাপ
৪. ইলেকট্রিক শক দিয়ে জবেহ
৫. গাড়িচালকদের ফৌজদারি দায়িত্ব
৬. বিভিন্ন আর্টওয়ার্কে নবী-রাসূল বা সাহাবীদের প্রতিমূর্তি
৭. সুকুক (বন্ডের ইসলামী বিকল্প) -এর অবশিষ্ট আলোচনা (সুকুক গত তিন অধিবেশন ধরে আলোচনা হয়ে আসছে)

উল্লিখিত বিষয়গুলোর ওপর পেশ করা পেপারগুলো ডাউনলোড করা যাবে এখানে: http://iefpedia.com/arab/أبحاث-الدورة-الحادي-والعشرين-لمجمع-ال-35326

ফিকহ অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট: http://www.fiqhacademy.org.sa/

১-১৯ তম অধিবেশনের সকল সিদ্ধান্ত একসঙ্গে: http://www.waqfeya.com/book.php?bid=597

১-২০ পর্যন্ত প্রতিটা অধিবেশনের সিদ্ধান্ত আলাদাভাবে অ্যাকাডেমির সাইটে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ২১তম অধিবেশনের সিদ্ধান্তগুলো এখনো প্রকাশিত হয় নি।

====

মন্তব্য: ১ ও ৩ নং বিষয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের জন্য খুবই জরুরী। কাজেই আগ্রহী গবেষকগণ নেড়েচেড়ে দেখতে পারেন। জাযাকুমুল্লাহ।