প্রসঙ্গ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস – কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে

পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা খুব সাধারণ ব্যাপার। এবার বিষয়টাকে আমলে নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভালো উদ্যোগ।

কওমী মাদ্রাসাগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টতা পনের বছরের মতো হয়ে গেল। কখনো প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটে নি, ঘটার সম্ভাবনাও নেই। বিশাল সমুদ্রের মতো সিলেবাস, সাজেশনও নেই। বোর্ড পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে হয়ত বড়জোর পুরনো বছরগুলোর প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করা যায়, এতটুকুই। প্রশ্নের প্যাটার্ন পরিবর্তন হয় প্রায় প্রতি বছরই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা তো চিন্তাই করা যায় না।

আসলে এখানে ‘যেভাবেই হোক’ পাশের বিষয়টা মুখ্য নয়, পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জনই মুখ্য। প্রতিদিন ক্লাসের আগে মুতালায়া (ক্লাসে যা পড়ানো হতে পারে, তা অগ্রিম স্টাডি করা), ক্লাসে মনোযোগসহ নোট নেয়া, আবার সন্ধ্যায় তাকরার (গ্রুপ স্টাডি) – এ তিনটা স্টেজে ছাত্ররা দৈনিক ক্লাসের পড়া আত্মস্থ করে থাকে।

অপরদিকে স্কুল-কলেজে ক্লাসের সময় আড্ডাবাজি আর ফেইসবুকিং, এরপর একাধিক জায়গায় কোচিং, পরে বাসায় এসে মুভি, আড্ডা আর ঘুম। পড়ার সময় তেমন নেই। তাই পরীক্ষার আগে হন্যে হয়ে প্রশ্ন খোঁজার প্রয়োজন পড়ে, আর ওদিকে ফাঁসকৃত প্রশ্নের বাজার জমে ওঠে। (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)

কওমী মাদ্রাসায় ‘বিজ্ঞান’ নামক পুস্তকের তেমন চর্চা নেই ঠিক, কিন্তু পড়াশোনার সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বাস্তব চর্চা এখানেই। স্কুল-কলেজগুলো চাইলে কওমী মাদ্রাসাগুলো খিদমাহর নিয়তে এ বিষয়ে তাদেরকে ফ্রি কনসালটেন্সি দিতে পারে।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article770221.bdnews