২:৫৩ আয়াতে ফুরকান বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

প্রশ্ন: সূরা বাক্বারা:৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর যখন আমি মূসাকে কিতাব ও ‘ফুরকান’ দান করেছিলাম যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হও !

এখানে কিতাব ও ফুরকান বলতে কি আলাদা দুটো কিছু বোঝানো হয়েছে নাকি কিতাবের গুনবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে!

উত্তর: কিতাব বলতে তাওরাত বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল মুফাসসীর একমত। আর ফুরকানের ব্যাপারে একাধিক মত রয়েছে:

১. তাওরাত। কিতাবের বিশেষণ হিসেবে এসেছে। আরবীতে এমন ব্যবহার অনেক। তাওরাতকে ফুরকান বলা হলো কারণ এটি সত্য ও মিথ্যা এবং হালাল ও হারামের মাঝে পার্থক্য করে দেয়।

২. মূসা আ. এর প্রতি প্রেরিত শরীয়ত, যা হালাল-হারামের মাঝে পার্থক্যকারী।

৩. মূসা আ. কে দেওয়া মুজেযা তথা অলৌকিক ক্ষমতাসমূহ, যেগুলো সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। যথা- লাঠি, শুভ্র হাত ইত্যাদি।

৪. আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সাহায্য, যা বন্ধু এ শত্রুর মাঝে পার্থক্য করে দিয়েছে।

৫. কুরআন। মুসা আ. কে ভবিষ্যতে কুরআন নাজিলের সংবাদ দেওয়া হয়েছিল আর তিনি তার উপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। আর কুরআন হলো সত্য-মিথ্যা, হালাল-হারামের মাঝে পার্থক্যাকারী। এজন্যই ফুরকান বলা হয়েছে।

৬. অথবা ফুরকান দ্বারা কুরআন-ই উদ্দেশ্য। তবে এর পূর্বে একটি কর্মকারক বা মাফ’উল উহ্য আছে, তা হলো ‘মুহাম্মদ’। তাহলে পুরো বাক্যটার অর্থ দাঁড়ায়, “আমি মূসাকে আ. দিয়েছি তাওরাত, আর মুহাম্মদকে স. দিয়েছি কুরআন।” আরবীতে অতি পরিচিত ক্ষেত্রে কর্তৃকারক ও কর্মকারক উহ্য থাকার উদাহরণ অনেক।

সুত্র: পুরো ব্যাখ্যাটাই তাফসীরে রূহুল মা’আনী থেকে নেওয়া। অন্য কোন তাফসীরে এত বিস্তারিত আলোচনা পেলাম না।