প্রশ্ন : Ebay.com এর লেনদেন কি বৈধ?

প্রশ্ন : In the name of Allāh, Most Gracious, Most Merciful. Assalāmu ῾alaykum wa Rahmatullāhi Wabarakātuh.

Hazrat ebay buy and sell related 1ta problem niye ei montobbo korlen 1 jon amake bolben plz er somadan ki?

আমি যা জানি তা হল, (আমার জানার উপর ভরসা করে লাভ নেই। আ’লেমের কাছ থেকে তাহকীক করে নেয়া ভাল।) যে কোন লেনদেন যেখানে কারও কোন ধরনের ক্ষতির (খুব সামান্যই হোক) আশংকা তাকে তাই জায়েজ নেই। একই ভাবে কোন কেনাবেচা সুদ হবে যদি

1. ফিজিকাল কোন পণ্যের কেনা বেচা না হয় বরং ভার্চূয়ালী কেনাবেচা হয় যেমন ইসলামিক ব্যাংকে।

2. ক্রেতা টাকার বিনিময়ে কোন পণ্য বা সেবা না পায়

3. বিক্রেতা পণ্যে বা সেবা বিনিময় ছাড়াই টাকা পায়

4. হুবহু একই জিনিসের লেনদেনের মধ্যে কোন পক্ষ ঠকে যায়।

ই-বে তে বিডিং এর সময় বিড প্লেস করতে টাকা দিতে হয় এবং অনিশ্চিত এই বিড উইন করবে কিনা। যদি উইন করে তবে জুয়া হয় যদি না করে তবে সুদ হয়। এই ভাবে ১০০ জনে বিড করলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ টাকা নিলে এবং উইনিং বিডারের কাছে থেকে ৩০ টাকা নিলে মোট টাকা পায় ১৩০ টাকা। ধরি পণ্যের দাম ৫০ টাকা। ক্রেতা পাচ্ছে ২০ টাকা কমে আর বিক্রেতা বেচল ৮০ টাকা বেশিতে মধ্যখানে ৯৯ জন প্রত্যেকে লস খেল। হাউজি খেলার নিয়মও অনেকটা এমনই।

অনলাইন বিডিং গুলো তাই জুয়া এবং সুদ দুইটাই। ফরমাল বিডিংয়েও যদি বিড করতে টাকা দিতে হয় তবে জায়েজ হবে না। টেন্ডার এবং ব্যাংক ড্রাফটে খরচ বহনের এবং অযোগ্য বিড ঠেকানোর জন্য অফেরত যোগ্য জামানত রাখে বলে উলামা কেরাম জায়েজ বলেন, তবে তাকওয়ার জন্য পরহেয করতে বলেন অনেকে।

আমার প্রশ্ন, For the following condition is ebay is permissible ?

1. People can buy and sell there used/ new product. People can buy the product by biding.

2. ই-বে তে বিডিং এর সময় বিড প্লেস করতে টাকা দিতে হয় এবং অনিশ্চিত এই বিড উইন করবে কিনা।

3. এই ভাবে ১০০ জনে বিড করলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ টাকা নিলে এবং উইনিং বিডারের কাছে থেকে ৩০ টাকা নিলে মোট টাকা পায় ১৩০ টাকা। ধরি পণ্যের দাম ৫০ টাকা। ক্রেতা পাচ্ছে ২০ টাকা কমে আর বিক্রেতা বেচল ৮০ টাকা বেশিতে মধ্যখানে ৯৯ জন প্রত্যেকে লস খেল।

উত্তর :

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

প্রশ্ন করার জন্য শুরুতেই দোয়া করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যে কোনো পার্থিব-অপার্থিব বিষয়ে সন্দেহে না থেকে যিনি জানেন, তার কাছ থেকে জেনে নেয়াই সর্বোত্তম কাজ। আল্লাহ তা’আলা বলেন,

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ [٢١:٧]

অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা স্মরণ রাখে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। (২১:৭)

আপনি প্রশ্ন করেছেন,

১. বিডিং বা নিলামের মাধ্যমে কেউ কোনো জিনিস (নতুন/পুরাতন) ক্রয়/বিক্রয় করতে পারবে কিনা?

২. অনলাইন বিডিং ওয়েবসাইট Ebay.com এ ক্রয়-বিক্রয় বৈধ কিনা?

আপনার সন্দেহের কারণগুলো হলো :

o এতে ফিজিকাল কোন পণ্যের কেনা বেচা হয় না বরং ভার্চূয়ালী কেনাবেচা হয়

o ক্রেতা টাকার বিনিময়ে কোন পণ্য বা সেবা পায় না

o বিক্রেতা পণ্য বা সেবার বিনিময় ছাড়াই টাকা পায়

o হুবহু একই জিনিসের লেনদেনের মধ্যে কোন পক্ষ ঠকে যায়

o ই-বে তে বিডিং এর সময় বিড প্লেস করতে টাকা দিতে হয় এবং অনিশ্চিত এই বিড উইন করবে কিনা জানা থাকে না

o এই ভাবে ১০০ জনে বিড করলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ টাকা নিলে এবং উইনিং বিডারের কাছে থেকে ৩০ টাকা নিলে মোট টাকা পায় ১৩০ টাকা। ধরি পণ্যের দাম ৫০ টাকা। ক্রেতা পাচ্ছে ২০ টাকা কমে আর বিক্রেতা বেচল ৮০ টাকা বেশিতে মধ্যখানে ৯৯ জন প্রত্যেকে লস খেল।

আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার পূর্বে একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা টানছি।

ইসলাম মানুষের জীবনকে খুব সহজ ভাবে পরিচালিত করে। মানুষের জীবন চলার পথে অযথা কোনো সীমানা-প্রাচীর গেড়ে দেয় না। আমরা দেখি, বাজারমূল্যে বিধি-নিষেধ আরোপ করতেও হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে যোগান বাড়িয়ে চাহিদা মিটিয়ে মূল্যকে তার আপন গতিতে চলার স্বাধীনতা দিতে বলা হয়েছে সহীহ মুসলিমের একটি হাদীসে।

ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মৌলিক কথা একটিই। সেটা হলো, ক্রয়-বিক্রয় হালাল। আল্লাহ বলেন,

وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا

আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (২:২৭৫)

কোনো ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে প্রশ্ন হলে, প্রথমে ধরে নিতে হবে, এর মৌলিক অবস্থান হলো হালাল। এখন যদি কোনো হারাম বিষয় পাওয়া যায়, তাহলেই তা অবৈধ হবে। নতুবা তা তার মৌলিক অবস্থাতেই বিরাজ করবে।

বিষয়টা এমন নয় যে, যে কোনো নতুন ক্রয়-বিক্রয়ই মৌলিক ভাবে হারাম। এরপর একে পূর্বের কোনো হালাল ক্রয়ের সঙ্গে মিলিয়ে হালাল বলা হবে।

এবার আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে আসি।

প্রথম প্রশ্ন হলো : বিডিং বা নিলাম বৈধ কিনা?

এর উত্তর হচ্ছে : বিডিং বা নিলাম সম্পূর্ণ বৈধ। এর সূত্র হলো,

আনাস রা. এর সূত্রে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল স. এর কাছে ভিক্ষা করতে আসে। রাসূল স. তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার বাসায় কি কিছু নেই। লোকটি উত্তর দেয়, আছে। একটি চাদর, যার কিছু অংশ গায়ে দিই, আর কিছু মাটিতে বিছাই। আরেকটি পানির পাত্র। রাসূল স. বললেন, ওগুলো নিয়ে এস। লোকটি নিয়ে আসলে রাসূল স. সেগুলো নেন। এবং বলেন, কে এগুলো কিনবে? একজন বলে উঠেন, আমি এক দিরহামের বিনিময়ে কিনব। রাসূল স. বলেন,এক দিরহামের বেশি কে দিবে? দুইবার কি তিনবার তিনি এরূপ বলেন। তখন এক লোক দাঁড়িয়ে বলেন, আমি দুই দিরহামের বিনিময়ে কিনব। রাসূল স. তার কাছে বিক্রয় করে দিরহাম দুটি ঐ আনসারী ব্যক্তিকে দেন। বলেন, এক দিরহাম পরিবারকে দিবে। আরেকটি দিয়ে একটি কোদাল কিনবে। লোকটি কোদাল কিনে নিয়ে আসে। রাসূল স. তাতে কাঠের হাতল লাগিয়ে দেন। বলেন, যাও, কাঠ কেটে বিক্রয় করো। পনের দিন আমার সাথে দেখা করবে না।

লোকটি কাঠ কেটে বিক্রয় করতে থাকল। ইতোমধ্যে তার দশ দিরহাম হয়ে গেল। কিছু দিরহাম দিয়ে সে কাপড় কিনল, আর কিছু দিয়ে খাবার কিনল। রাসূল স. তাকে বললেন, ক্বিয়ামতের দিন তোমার চেহারায় ভিক্ষার কালিমা থাকার চেয়ে এটা অনেক ভালো। (তিরমিযী)

ما روي عن أنس بن مالك رضي الله عنه: أن رجلا من الأنصار أتى النبي صلى الله عليه وسلم يسأله فقال له: ما في بيتك شيء؟ قال: بلى حلس يلبس بعضه، ويبسط بعضه، وقعب يشرب فيه الماء. قال: ائتني بهما. فأتاه بهما، فأخذهما رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال: من يشتري هذين؟ فقال رجل: أنا آخذهما بدرهم، قال: من يزيد على درهم؟ مرتين أو ثلاثاً، فقال رجل: ،أنا آخذهما بدرهمين، فأعطاهما إياه، وأخذ الدرهمين، فأعطاهما الأنصاري، وقال: اشتر بأحدهما طعاماً فانبذه إلى أهلك، واشتر بالآخر قدوماً، فائتني به. فأتاه به، فشد رسول الله صلى الله عليه وسلم عوداً بيده، ثم قال له: اذهب فاحتطب وبع، ولا أرينك خمسة عشر يوماً، فذهب الرجل يحتطب ويبيع، فجاء وقد أصاب عشر دراهم، (220) فاشترى ببعضها ثوباً، وببعضها طعاماً، فقال له رسول الله صلى الله عليه و سلم: هذا خير لك من أن تجيء المسألة نكتة في وجهك يوم القيامة. إن المسألة لا تصلح إلا لثلاثة : لذي فقر مدقع، أو لذي غرم مفظع، أو لذي دم موجع.

আল্লামা কাসানী রহ. (বাদায়ে সানায়ে গ্রন্থের প্রণেতা) এই হাদীসের টীকায় লিখেন,

وما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليبيع بيعاً مكروهاً.

রাসূল স. নিশ্চয় অপছন্দনীয় ক্রয়-বিক্রয় করতেন না। (অর্থাৎ, নিলামে বিক্রয় খারাপ হলে রাসূল স. তা করতেন না।)

তা ছাড়া ইসলামের শুরু যুগ থেকেই মুসলমানরা নিলামে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে।

এখানে লক্ষণীয়, আরেকটি নিষিদ্ধি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে নিলামের ক্রয়-বিক্রয়ের সামঞ্জস্যতা ধরা পড়ে, ফলে অনেকেই এর সাথে ওটাকে মিলিয়ে ফেলেন।

স্পষ্ট করেই বলি। নিলাম ওঠার পর কোনো একজন ক্রেতার সঙ্গে যদি বিক্রেতার চুক্তি হয়ে যায়, এরপর সেই মজলিসেই অন্য ক্রেতা বেশী নিলাম ডাকে, তাহলে সেই ক্রেতার সঙ্গে বিক্রয় অবৈধ হবে। কিন্তু চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রেতাগণ নিলাম ওঠাতে থাকলে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিলামকারীর সাথে বিক্রেতা চুক্তি করতে পারেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।

আমাদের উল্লিখিত প্রশ্নে ব্যাপারটা সেরকমই। নিলামের সময় শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ক্রেতার সাথে বিক্রেতা চুক্তি করতে পারে না। এমনকি কে কত দর হাঁকল, তাও জানতে পারে না। কাজেই এ ক্ষেত্রে এতে কোনো অবৈধ বিষয় নেই।

প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশের অনেকগুলো অংশ। একে একে উত্তর দেয়া যাক।

আবারও বলি, ক্রয়-বিক্রয় মূলত হালাল। তবে এতে কোনো হারাম উপাদান থাকলে তা হারাম। অনলাইনে কেনাকাটায় কিছু মৌলিক বিষয় লক্ষণীয় :

১. পণ্যটি ইসলামী শরীয়ত মতে হালাল হতে হবে। কাজেই মদ, রক্ত ইত্যাদি কেনাবেচা করা যাবে না।

২. সোনা-রূপা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। কারণ, সোনা-রূপা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পণ্য হস্তগত করা শর্ত। কিন্তু অনলাইন ক্রয়-বিক্রয়ে তা সম্ভব নয়। কাজেই এ ধরণের কেনা-বেচা সুদে পরিণত হবে।

৩. পণ্য নিজের কাছে না থাকলে তা নিজের পণ্য বলে উল্লেখ করে বিক্রয় করা যাবে না। রাসূল স. যে সম্পদ নিজের কাছে হস্তগত নেই, তা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। কেননা এতে অযথাই মধ্যসত্ত্বভোগী বেড়ে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আসলে এই নীতিগুলো সবরকম ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে অনলাইন ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ঘুরে-ফিরে এসব বিষয় চলে আসে বলে উল্লেখ করে নিলাম।

Ebay.com এর লেনদেন বৈধ না হওয়ার ব্যাপারে আপনার সন্দেহগুলো উল্লেখ করছি।

১. এতে ফিজিকাল কোন পণ্যের কেনা বেচা হয় না বরং ভার্চূয়ালী কেনাবেচা হয়

উত্তর : এটা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো, পণ্য হস্তগত না থাকা।

২. ক্রেতা টাকার বিনিময়ে কোন পণ্য বা সেবা পায় না

উত্তর : এটা অস্পষ্ট।

৩. বিক্রেতা পণ্য বা সেবার বিনিময় ছাড়াই টাকা পায়

উত্তর : ebay.com এর ক্ষেত্রে এই অভিযোগটি অসত্য বা অসম্পূর্ণ।

৪. হুবহু একই জিনিসের লেনদেনের মধ্যে কোন পক্ষ ঠকে যায়

উত্তর : কাউকে ঠকানোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ebay.com অনেক উন্নত ব্যবস্থা রেখেছে। বিক্রেতা ঠিক মতো পণ্য পৌঁছান কিনা, ক্রেতার সাথে ভালো ব্যবহার করেন কিনা, ইত্যাদি যাচাই করার ব্যবস্থা আছে। আবার ক্রেতা সত্যিই কিনেন কিনা, নাকি এমনিতে বিড করে যান, তাও বোঝার উপায় আছে। এরপর কেউ ঠকলে সে কারণে পুরো ব্যবস্থাকে অবৈধ বলা যায় না।

৫. ই-বে তে বিডিং এর সময় বিড প্লেস করতে টাকা দিতে হয় এবং অনিশ্চিত এই বিড উইন করবে কিনা জানা থাকে না। এই ভাবে ১০০ জনে বিড করলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ টাকা নিলে এবং উইনিং বিডারের কাছে থেকে ৩০ টাকা নিলে মোট টাকা পায় ১৩০ টাকা। ধরি পণ্যের দাম ৫০ টাকা। ক্রেতা পাচ্ছে ২০ টাকা কমে আর বিক্রেতা বেচল ৮০ টাকা বেশিতে মধ্যখানে ৯৯ জন প্রত্যেকে লস খেল।

উত্তর : আমি দু:খিত যে, আপনার এই তথ্যটি অসম্পূর্ণ বা অনিচ্ছাকৃত ভুল। ebay.com এ কেবল বিক্রেতা পণ্যকে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ভাবে পেমেন্ট করেন। সেটা ওয়াকালাত বিল উজরাত হিসেবে সম্পূর্ণ বৈধ হবে।

বিড করতে ক্রেতাকে কোনো কিছু পে করতে হয় না। আমরা এই তথ্যের জন্য ebay.com এর অনেক রেফারেন্স স্টাডি করেছি এবং ebay.com এ দীর্ঘদিন ধরে ক্রয়-বিক্রয় করছেন, এমন ব্যক্তির সাথেও আলোচনা করেছি।

উল্লেখ্য, কোনো বিডিং সাইটে প্রশ্নোল্লিখিত ব্যবস্থায় টাকা দিতে হলে সে লেনদেনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

কিছু প্রয়োজনীয় সূ্ত্র :

http://www.islam-qa.com/ar/ref/148591

http://www.islamweb.net/ver2/Fatwa/ShowFatwa.php?lang=A&Option=FatwaId&Id=17455

http://www.islam-qa.com/ar/ref/142170

http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=cd203349d1db48963b3d18559db553da