দেশের তাপমাত্রা গত পঞ্চাশ বছরের সর্বোচ্চ মাত্রা ছুঁই ছুঁই করছিল। আগামী কয়েক দিনেও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা ছিল না। গতকাল সকালে ইয়াহু ওয়েদারে দেখেছিলাম আগামী সোমবার বিকেলে কিছু বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। আর Accu ওয়েদারে আগামী বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল। বাসার পত্রিকার সংবাদ অনুসারে দেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের বরাতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।
গতকাল সারা দেশে জুমার পর বৃষ্টির জন্য দোয়া হয়। কোটি কোটি মুসল্লী আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে তাওবা করেন, অনাবৃষ্টির আযাব থেকে মুক্তি চেয়ে বৃষ্টির নেয়ামত প্রার্থনা করেন। কিছু জায়গায় সালাতুল ইস্তিস্কাও (বৃষ্টি প্রার্থনার বিশেষ) পড়া হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মসজিদেও জুমার পর ইস্তিগফার করে বিশেষভাবে দুয়া করা হয়।
আল্লাহ তায়ালা রাহমান-রাহীম। তিনি দেয়ার জন্য প্রস্তুত, সবসময়। আমরাই চাইতে পারি না। বা চাওয়ার ও পাওয়ার পথগুলো বন্ধ করে রাখি।
দুপর গড়িয়ে বিকেল হতেই সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃষ্টির খবর আসতে থাকে। আজ বিকেল-সন্ধ্যা থেকে ঢাকাতেও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। মনে হচ্ছে হাজার হাজার টনের সেন্ট্রাল এসি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বৃষ্টিও হয়েছে কিছু, আরো হবে ইনশা’আল্লাহ।
এরপরও কিছু মানুষ বৃষ্টির জন্য ব্যঙের বিয়ের আয়োজন করে, কোনো কোনো মিডিয়া আবার তা সাগ্রহে প্রচারও করে। নিউজ ফিডে সেদিন একটি পোস্ট দেখেছিলাম, বৃষ্টির জন্য ফ্ল্যাশমব আয়োজনের প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
আমাদের রাবকে যতদিন আমরা না চিনব, রাবের কাছে যতদিন নিজেদের সঁপে না দিব, নানা আযাব চারপাশ থেকে এভাবেই আমাদের গ্রাস করে নেবে। আর আমরা ভেবে নেব, এ তো প্রাকৃতিক, আমাদের কি-ই-বা করার আছে।
আল্লাহর নেয়ামত তরমুজ-মাল্টা-আপেল এখন বিষ, মাছ-মুরগী বিষ, দুধ-ডিম বিষ। চারপাশের নেয়ামতগুলো আজ আযাব। তবু আমরা পথহারা, দিকভ্রান্ত! সমস্যাটা কোথায় তা এখনো নির্ণয় করতে পারছি না।
আল্লাহ আমাদের হুঁশ ফিরিয়ে দিন। আমীন।