প্রশ্ন: bKash -এর সাহায্যে টাকা পাঠানো বৈধ কিনা?

প্রশ্ন: বর্তমানে bKash নামে একটি সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠানো যায়। এতে যিনি টাকা পাঠান, তার খরচ হয় দুই টাকা। আর প্রাপক টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে দুই ভাবে উঠাতে পারেন। ১. এজেন্টের কাছ থেকে। ২. এটিএম থেকে। এজেন্টের কাছ থেকে তুলতে সমুদয় টাকার ১.৮৫% ফি দিতে হয় এবং এটিএম থেকে তুলতে ২% ফি দিতে হয়। প্রশ্ন হল, এরূপ ফি দিয়ে টাকা উঠানো শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?

উত্তর: بسم الله الرحمن الرحيم

কোনো ব্যক্তি বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা পাঠানো বৈধ। শরীয়তে এটি ওয়াকালাহ বা Agency Contract এর আওতাধীন হবে। ওয়াকালার ক্ষেত্রে ওয়াকিল বা Agent পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তার Agency এর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আর পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট হওয়া জরুরী। তা নির্দিষ্ট অংক বা কোনো অংকের নির্দিষ্ট হার – উভয়টিই হতে পারে। যেমন ১০০ টাকায় ১০ টাকা, বা ১০০ টাকার ১০% – উভয়টিই বৈধ।

প্রশ্নে উল্লিখিত ক্ষেত্রে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো Agent আর গ্রাহক হল Principle. সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক বা Service Fee এর বিনিময়ে গ্রাহকের টাকা পাঠানোর দায়িত্ব পালন করছে। কাজেই শরীয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধ হবে।

তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি সুদভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের কাছে বেশি সময় টাকা গচ্ছিত রাখা উচিৎ নয়। কারণ এতে তারা গ্রাহকের টাকা কিছু সময়ের জন্য হলেও সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে।

এক কথায়, টাকা পাঠানোতে যদিও কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তা যেন সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সুদভিত্তিক কার্যক্রমে সহযোগিতার পর্যায়ে না হয়, তা লক্ষ্য রাখা উচিৎ।

والله أعلم بالصواب.

আপডেট: সম্প্রতি bKash গ্রাহককে মাসিক জমার বিপরীতে সুদ দেয়া চালু করেছে। (বিস্তারিত) সুদের চুক্তি সম্পূর্ণ হারাম। আমাদের উপরোক্ত উত্তর কেবল টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সুদভিত্তিক জমা রাখার ক্ষেত্রে নয়। একান্ত প্রয়োজনে সাময়িক টাকা রাখতে হলে অবশ্যই সুদ বন্ধ করে নিতে হবে। বিকাশের ওয়েবসাইটে সুদ গ্রহণ বন্ধ করার ব্যাপারে বিস্তারিত দেয়া আছে।