সময় এসেছে রাসূল স. সম্পর্কে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির ভাই-বোনদের বেশি করে জানানোর। বিভিন্ন কলেজ-ভার্সিটিতে ভাইয়েরা ফ্রী সীরাত বই বিতরণ করতে পারেন। আয়োজন করতে পারেন সীরাত কনফারেন্স, সীরাত ওয়ার্কশপ বা সীরাত সেমিনার। যেখানে হাতে কলমে রাসূলের স. শিক্ষা, তাঁর চরিত্র, শত্রু-মিত্র, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সাধারণ মুসলিম ও অমুসলিমের সাথে তাঁর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, প্রশ্নোত্তর পর্ব হবে। মন খুলে প্রশ্ন করা যাবে, সকল সংশয় দূর করা হবে।
বাংলাদেশে প্রকৃত নাস্তিকের সংখ্যা হাতে গোনা। মাঝামাঝি মুসলিমের (সংশয়বাদী, বা ইসলামের নানা বিষয় ঘৃণা করে) সংখ্যা অনেক বেশী। তাদের দ্বীনকে জানা তাদের মৌলিক অধিকার। সমাজ, রাষ্ট্র, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি ও মিডিয়া তাদের এ অধিকার আদায় করার কথা। OIC এর মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। আমরা OIC এর মেম্বার হয়েছি সেই ১৯৭৪ সালে। বাংলাদেশের সংবিধানেও এ অধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু আফসোস এ মানবাধিকার বরাবরই লঙ্ঘিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশের দন্ডবিধি ১৯৮৬ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এ এই অধিকার খর্বকারীদের সাজা যথাক্রমে অনধিক দুই বছর ও অনধিক দশ বছর কারাদন্ড উল্লিখিত হয়েছে। সাথে অর্থদন্ডও হতে পারে অনধিক এক কোটি টাকা। কিন্তু এসব কেবল কাগজে আর ওয়েবেই আছে। কার্যকর নেই যেন।
যাই হোক, আসুন আমরা ইতিবাচকভাবে রাসূলের স. জীবনের সৌন্দর্য্য তুলে ধরি। তাহলে যারা মাঝামাঝি অবস্থানে আছেন, সংশয়ে আছেন, তারা আলোর দিশা ফিরে পাবেন ইনশা’আল্লাহ। আর কট্টর নাস্তিকরাও ইনশা’আল্লাহ দ্বীনের প্রতি আস্থা ফিরে পাবেন।