প্রসঙ্গ ভারতের সাম্প্রতিক ধর্ষণ সমাচার ও মৃত্যদণ্ডের দাবী

প্রসঙ্গ ভারতের সাম্প্রতিক ধর্ষণ সমাচার: ব্যভিচারী বিবাহিত হলে ইসলামে তার শাস্তি রজম বা প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড। আর অবিবাহিত হলে তার শাস্তি প্রকাশ্যে একশত বেত্রাঘাত। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। উল্লেখ্য, ব্যভিচারী সে-ই, যে স্বেচ্ছায় এই কুকর্ম করে। কাউকে জোর করে বা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাধ্য করা হলে সে ব্যভিচারই নয়, নির্যাতিত; সে এই শাস্তির আওতায় পড়বে না। কেবল বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির এই শাস্তি হবে।

ভারতে সাম্প্রতিক ঘটনার জের ধরে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, সেখানে রেপিস্ট বা ধর্ষকের কঠোর শাস্তি (এমনকী মৃত্যুদন্ড) দাবী করা হচ্ছে। ইসলাম যে মানুষের প্রকৃতির সাথে সবচেয়ে বেশি মিল রাখে (দ্বীনুল ফিতরাহ), এটি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

তবে শুধু ধর্ষককে কঠিন শাস্তি দিলে তা কখনো বন্ধ হবে না। একই ব্যক্তি একজনের সাথে স্বেচ্ছায় কুকর্ম করলে সে হবে প্রেমিক, তার কোনো শাস্তি হবে না; আর আরেকজনের সাথে করলে হবে ধর্ষক, তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে; এটা একটি দ্বিমুখী আইন। কারণ ধর্ষক ধর্ষণের ক্ষেত্রে যেই কু-ইচ্ছার প্রয়োগ করে, একই ইচ্ছার প্রয়োগ সে তার প্রেমিকার সাথে অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও করে। বিবাহ ছাড়া কোনো সম্পর্ক পবিত্র হতে পারে না। তাহলে একই ইচ্ছার প্রয়োগ এক জায়গায় দন্ডনীয়, নিন্দনীয়; আর অন্য জায়গায় প্রশংসিত; বিষয়টি খুবই হাস্যকর।

ধর্ষণ, ব্যভিচার -এগুলো মানুষের ভেতরের সুপ্ত পাশবিক আচরণ। বিবাহের মাধ্যমে এই পশুত্বকে সীমিত রাখা হয়। এখন, প্রেমিকার হাত ধরে তার বিস্ফোরণকে বৈধ করে দিলে সেই বিস্ফোরণে অন্য কেউ তো জ্বলবেই।

আল্লাহর আইনের চেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ আইন যে আর কারো পক্ষে প্রণয়ন করা সম্ভব নয়, তা ঘুরেফিরে বারবার প্রমাণিত হচ্ছে, হতেই থাকবে।