ওয়েবে আরেকটি ইসলামী পত্রিকার আত্মপ্রকাশ : Songskar.com

মাসিক সংস্কারের ওয়েব সাইট

গতকাল একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওয়েব ওয়ার্ল্ডে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে মাসিক সংস্কার (Songskar.com). উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে সংস্কারের অফিসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংস্কার পরিবারের পাশাপাশি অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড.মিনহাত আতিয়্যাহ, ডিরেক্টর, কুয়েতি সংস্থা (নামটা জানতে পারি নি); ড.আব্দুস শহীদ, ডিরেক্টর, ফুরকান সংস্থা; ড.শামসুল হক সিদ্দীক, চেয়ারম্যান, শাবাকা সফট লিমিটেড; আমি এবং মো: শরীফুল আলম (ত্রিভুজ), সিও, শাবাকা সফট লিমিটেড।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্কার সম্পাদক মু.ইসমাইল হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পত্রিকাটি ১৯৯৭ সন থেকে শুরু হয়েছে। আমরা জানি, নি:সন্দেহে প্রিন্ট মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রিন্টেড ম্যাগ যে কোনো জায়গায় সহজে বহনযোগ্য। গরীব-ধনী, শহর-গ্রাম সবজায়গায় সহজে পৌঁছে যায়। অথচ ওয়েব মিডিয়া এর ব্যতিক্রম। এর জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। যা এখনো সর্বসাধারণের নাগালে নয়। তবু আমাদের এই পদক্ষেপ নেয়ার কারণ, প্রবাসী বাঙালী পাঠকদের কাছে পোঁছানো। প্রবাসে বসেও যেন তারা সংস্কার পত্রিকাটি পড়তে পারেন, সেজন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।

তিনি শাবাকা সফট পরিবার, বিশেষ করে মো. শরীফুল আলম (ত্রিভুজ)কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

শাবাকা সফট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড.শামসুল হক সিদ্দীক তার বক্তব্যে বলেন, ওয়েব মিডিয়া হলো new media বা নতুন মাধ্যম। এটি এমন একটি মিডিয়া যাতে সংবাদ প্রেরক ও পাঠকের মধ্যে সরাসরি তাৎক্ষণিক মিথস্ক্রিয়া সম্ভব। যা অন্য কোনো মিডিয়ায় কখনো সম্ভব নয়। ফলে, খুব দ্রুতই এটি অন্যান্য মিডিয়াকে টপকে যাচ্ছে, এবং যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু কিছু ইসলামী পত্রিকা ও অর্গানাইজেশন এখন অনলাইনে আসছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্যি যে তাদের সাইট গুলো খুব কমই সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব। ফলে দেখা যায়, বহুদিন ধরে অনলাইনে থাকলেও ভিজিটররা তাদের সাইটে ঢুকেও দেখেন না। কারণ, ওয়েব ভিজিটরের একটা বড় অংশ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আসে। আর সাইটটা যদি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী না হয়, তাহলে সে সাইটের ওয়েবে উপস্থিতি আর অনুপস্থিতি একই রকম। ওয়েব জগতে ইসলামী পরিমন্ডলের শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই শাবাকা সফটের আগমন।

তিনি সংস্কার পরিবারকে ধন্যবাদ জানান এমন একটি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। এবং আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ক্ষেত্রে তিনি অগ্রপথিক হয়ে থাকবেন।

ড.আব্দুস শহীদ তার বক্তব্যে সংস্কার পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দিনরাত্রি ইন্টারনেট নিয়ে বসে থাকে। তাদের কাছে যদি এভাবে কিছু জ্ঞানের খোরাক তুলে ধরা যায়, তাহলে নি:সন্দেহে উপকৃত হবে। উদাহরণত, যদি প্রতিনিয়ত ওয়েবে তাদের জন্য নতুন কিছু আরবী বা ইংরেজী শব্দ অর্থসহ দেয়া হয়, তাহলে তাদের ভোকাবুলারী রিচ হবে। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে তাদের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। সংস্কারের এ পদক্ষেপ সকলের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এরপর আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে সংস্কার পরিবারকে, বিশেষ করে সম্পাদক ইসমাইল সাহেবকে ও অন্যান্য অতিথিকে ধন্যবাদ জানাই। এরপর বলি, সম্পাদক সাহেব তার বক্তব্যে যে কথাটি তুলে ধরেছেন, যে, প্রিন্ট মিডিয়া ওয়েব মিডিয়ার চেয়ে শক্তিশালী এবং সহজলভ্য। আমি বলব, খুব শীঘ্রই ওয়েব মিডিয়া অন্য সব মিডিয়ার স্থান দখল করে সবচেয়ে শক্তিশালী মিডিয়া হিসেবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করবে। উন্নত দেশগুলোতে অবশ্য এরই মধ্যে এর লক্ষণ স্পষ্ট। আজ সংস্কারের প্রিন্টের ভার্সনের পাঠক যদি পাঁচ হাজার হয়ে থাকে, তো, কাল এর ওয়েব ভার্সনের পাঠ পাঁচ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে ইনশা’আল্লাহ। এটা কোনো ভিত্তিহীন স্বপ্ন নয়, এটাই অনাগত বাস্তব।

আমাদের দেশের সরকার দেশকে ডিজিটাল করার স্বপ্ন দেখছেন। আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে এসেছি। আমরাও চাই, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষের যোগাযোগ থাকুক।

পরিশেষে অন্যন্য ইসলামী অর্গানাইজেশন ও পত্র-পত্রিকাও অনলাইনে তাদের অবস্থান তুলে ধরে পৃথিবীব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে ইসলামের কথা পৌঁছে দিবে বলে আশাবাদ করি।

সবশেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন ড.মিনহাজ আতিয়্যাহ। তিনি সংস্কার পরিবারের সফলতা কামনা করেন এবং শাবাকা সফট পরিবারের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এরপর ড.আব্দুস শহীদের পরিচালনায় মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইতোপূর্বে মাসিক আল কাউসার এর ওয়েবসাইটের কথা আপনাদের বলেছিলাম। আল কাউসার ছাড়াও আরো কয়েকটি বাংলা ইসলামী পত্রিকা ওয়েবে আছে। পরে সেগুলো নিয়ে একটি পোষ্ট দিব, ইনশা’আল্লাহ।